বেতন বৃদ্ধি: পুজোর আগে ৬০০০ টাকা বেতন বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কণ্যাশ্রী এবং রূপশ্রী প্রকল্পের অধীনে থাকা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন সংশোধন করা হয়েছে।
গত ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবরের নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছিল। সেই নোটিফিকেশনের অধীনে যে সকল কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত নন, তাঁদের এই বেতন বাড়ছে বলে জানিয়েছে সরকার।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কণ্যাশ্রী প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ডেটা ম্যানেজার, এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাম ডেটা ম্যানেজারের বেতন বাড়ছে। ওদিকে রূপশ্রী প্রকল্পের অধীনে থাকা অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই নির্দেশিকায় ইতিমধ্যেই রাজ্যপাসই করেছেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কণ্যাশ্রী প্রকল্পের অধীনে থাকা অ্যাকাউন্ট্যান্টের মাসিক ন্যূনতম বেতন বেড়ে হচ্ছে ২১ হাজার টাকা। এর আগে তা ছিল ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ পুজোর আগে এই কর্মীদের বেতন একলাফে ৬ হাজার টাকা বেড়েছে। কণ্যাশ্রী প্রকল্পের অধীনে থাকা ডেটা ম্যানেজারের বেতন বেড়ে হচ্ছে ১৬ হাজার টাকা। এর আগে তা ছিল ১১ হাজার টাকা। অর্থাৎ পুজোর আগে এই কর্মীদের বেতন একলাফে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। এদিকে অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাম ডেটা ম্যানেজারের বেতন ১২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার বেড়ে ১৬ হাজার হচ্ছে।
রূপশ্রী প্রকল্পের অধীনে থাকা অ্যাকাউন্ট্যান্টের মাসিক বেতন আগে ছিল ১৫ হাজার টাকা। এবার থেকে সেই ন্যূনতম বেতন ৬ হাজার টাকা বাড়ছে। অর্থাৎ, এখন থেকে তাঁদের মাসিক বেতন হবে ২১ হাজার টাকা। অপরদিকে রূপশ্রীর অধীনে থাকা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের মাসিক বেতন বেড়ে হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। এর আগে সেই বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। এবার তা একলাফে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে।
সকরারি নথি অনুযায়ী, যে সকল কর্মীরা ২১ হাজার বেতনে কাজে ঢুকবেন, তাঁদের অ্যানুয়াল এনহ্যান্সমেন্ট হবে ৮০০ টাকা। পাঁচবছর চাকরি সম্পন্ন করলে সেই পরিমাণ বাড়বে। নিয়োগের থেকে ১০ বছর হয়ে গেলে তখন তাঁদের বেন হবে ৩২ হাজার টাকা। তখন বাৎসরিক এনহ্যান্সমেন্ট হবে ১০০০ টাকা। এবং ১৫ বছর পর এই কর্মীদের বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা। অ্যানুয়াল এনহ্যান্সমেন্ট হবে ১২০০ টাকা করে।