নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার বড় খবর সামনে এল। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও চাকরি পায়নি ২০০ জন, প্রাথমিকে নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি ফের ফাঁস হল! ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় জায়গা হয়নি অথচ অযোগ্যদের মেধা তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে! কীভাবে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হল? প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন উত্তর ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মতো ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হলেও পরবর্তী সময় তা বাতিল হয়ে যায়। পরে আবার লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ। এরপর ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ বাঁধা কাটিয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়। এই নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে।
২০০ জন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর অধিক থাকা সত্ত্বেও, তাঁরা মেধা তালিকায় স্থান পাননি বলে অভিযোগ। যে কারণে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর বিচারপতি মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন।
এই মামলায় উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি কাউন্সিলের আইনজীবীকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা রিপোর্ট জমা দিল না। যদিও আইনজীবী জানিয়েছেন আরও খানিকটা সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। এরপর বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান, আপনাদের দেওয়া তথ্য-ই বলছে মামলাকারী বেশি নম্বর পেয়েও স্থান পেলেন না অথচ তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন! কী করে?
এই মামলায় যাঁরা যাঁরা মামলায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে তাদের রিপোর্ট এবং মূল মামলার রিপোর্ট আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ফলে বলাই যায় ফের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার।