রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে আড়াই লক্ষ শিক্ষক–শিক্ষিকা কর্মরত, টেট পরীক্ষা কি দিতে হবে? পুরোনো নির্দেশিকায় নয়া বিতর্ক

669
শিক্ষক বেতন স্কেল

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের টেট পাশ নিয়ে টানাপড়েন, নয়া বিতর্ক সামনে আসছে পুরোনো নির্দেশিকায়। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে নিয়োগে টেট পাশ চাই, আট বছর আগেই কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট যে টেট পাশ করতে হবে শিক্ষকদের। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে কর্মরত শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক টেট পাশ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সামনে এসেছে খোদ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক নির্দেশিকা।

এক দশক আগের সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে টেট পাশ কম্পালসারি। সেখানে আরও বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে কর্মরত সমস্ত শিক্ষকদের শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ মেনে টেট পাশ চার বছরের মধ্যে করতেই হবে।

এরপর মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অনিতা কারওয়াল ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর ফের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাড়তি দু’বছর অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের সময় দেওয়া হচ্ছে। পর পর দুটি নির্দেশের পরেও বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য স্তরে তেমন কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

গোটা বিষয় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বুধবার বলেন, ‘আমরা গোটা বিষয়েই অবগত। টেট পাশ না করেই কারা প্রাথমিক শিক্ষকতা করছেন, কারা এখনও মাধ্যমিক পাশ ও এক বছরের ট্রেনিং করে চাকরি করছেন, তার বিশদ তালিকা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (ডিপিএসসি) থেকে চেয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু ১২ দিন পুজোর ছুটি ও কয়েকটি জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তাই এ দিন আবার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সেইসব নথি চেয়ে রিমাইন্ডার পাঠানো হয়েছে। আমরা সমস্ত তথ্য স্কুলশিক্ষা দপ্তরে পাঠাব।’

এই বিষয়ে বিকাশ ভবনের এক শীর্ষকর্তা জানান, রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে আড়াই লক্ষ শিক্ষক–শিক্ষিকা কর্মরত। তাঁদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করা হবে কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্নই।

পড়ুন:  হল বেতন বৃদ্ধি! উপকৃত হবেন প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকা, ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষার অধিকার আইন মেনে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতামান ধার্য করা হয়, উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ, দু’বছরের শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ এবং টেট পাশ। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়া হয় স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বরের।