SSC শিক্ষক নিয়োগ: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে চলমান অস্থিরতা ও আন্দোলনের আবহে, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও আশার আলো দেখতে পেলেন না বহু ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থী।
সম্প্রতি ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার রক্ষা’ কমিটির প্রতিনিধিরা এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্দার্থ মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET)-এর প্রার্থীদের মধ্যে বহুজন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও নিয়োগ পাচ্ছেন না, যদিও তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
📌 পরীক্ষায় বসা যাবে কি না তা নিশ্চিত নয়
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, তাঁরা মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং ৪৫ শতাংশ নম্বর রয়েছে তাঁদের, যা ২০১১ সালের নিয়ম অনুযায়ী পর্যাপ্ত ছিল। কিন্তু কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান প্রক্রিয়ায় তাঁদের পরীক্ষায় বসা যাবে কি না তা নিশ্চিত নয়।
এছাড়া, রিজার্ভ ক্যাটাগরির যাঁরা ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও বহুজনের ফর্ম বাতিল হয়েছে, কারণ কমিশন পরীক্ষার মানদণ্ড পরিবর্তন করেছে।
🗣️ পরিষ্কার নির্দেশ বা আশ্বাস মেলেনি
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এসএসসি-কে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের প্রক্রিয়ায় যাঁরা ফর্ম পূরণ করে রেখেছেন এবং পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা রয়েছে তাঁদের নামের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা হোক। প্রয়োজনে নতুন করে পরীক্ষা নিতে হলেও তাঁরা প্রস্তুত।
কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও পরিষ্কার নির্দেশ বা আশ্বাস মেলেনি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছিলেন:
* তাঁরা কি পরীক্ষায় বসতে পারবেন?
* সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রিভিউ পিটিশন দাখিল হবে কি না?
* নতুন করে তালিকা প্রকাশ করা হবে কি না?
কোনও প্রশ্নেরই সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ।
🔍 শিক্ষক নিয়োগে অনিশ্চয়তা, আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যাঁদের ফর্ম বাতিল হয়েছে, তাঁদের নতুন করে আবেদন করতে দিতে হবে। নয়তো ২০১৬ সালের মতো তালিকা প্রকাশের দাবিতে আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
তাঁরা আরও জানান, “যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করো, নইলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে” — এই বার্তা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে কমিশনকে।
⚠️ উপসংহার:
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চিত। এসএসসি কোনও সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় অসন্তোষ ও হতাশা বাড়ছে। আগামী দিনে আন্দোলনের মাত্রা আরও বাড়বে বলেই ধারণা করছে শিক্ষা মহল।
🗓️ এ বিষয়ে রাজ্য সরকার ও এসএসসি কত দ্রুত এবং কীভাবে সমাধান করবে, এখন সেদিকেই নজর সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের।
