নিউজ ডেস্ক: তবে কি ফের জেলে যেতে চলেছেন তৃনমূল নেতা কুণাল ঘোষ? কুণালকে জেলে পাঠানো হবে না কেন? আদালত অবমাননার মামলায় এজলাসে জবাব দিতে হবে এই তৃণমূল নেতাকে। আগামী ১৬ জুন এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোটে সশরীরে হাজির হয়ে কুণালকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
আসলে আদালত অবমাননার মামলায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে কেন জেলে পাঠানো হবে না, রুল জারি করে তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোটে সশরীরে হাজির হয়ে কুণালকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। নারকেল ডাঙা থানার তরফে কুণালকে হাইকোর্টের নোটিস ধরানো হয়েছে বলে খবর।
শুধু তাই নয়, নোটিসে বলা হয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া ওইদিন আদালত থেকে কুণাল ঘোষ বেরোতে পারবেন না। এমনকী আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাঁকে জেলেও পাঠাতে পারে। যদিও কুণালের আইনজীবীর দাবি ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না কুণাল। তার নাম অকারণে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ছবি হাতে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সেরেস্তার সামনেও পোঁছে যান তাঁরা। সেখানে বিকাশবাবুর সহকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামিমসহ অন্যান্য আইনজীবীদের ঘেরাও করে রাখা হয়। ওই ঘটনায় পরে আদালতের দ্বারস্থ হন আক্রান্ত আইনজীবীরা। সেই মামলা গ্রহণ করে শুনানির জন্য বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ওই মামলাতেই কুণাল-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। তবে ‘আদালতের বিষয়ে বাইরে কোনও মন্তব্য নয়’ বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন কুণাল।