প্রধান শিক্ষক নিয়োগ: আদালতের নির্দেশ মেনে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। জানালেন, নয়া বিল পাস হলেই প্রধানশিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এসসি, এসটি, ওবিসি ‘এ’ ‘বি’ রাও সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন।
২০১৭ সালের রাজ্যের হাইস্কুলগুলোতে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ হয় দেড় হাজারের মতো। তার পর থেকে আর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। সুত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলিতে ৩ হাজার ৫০০ পদে বেশি প্রধানশিক্ষক পদ খালি রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য দাবি জানাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন।
এর আগে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ জেনারেল ক্যাটাগরিতে হত। আগের নিয়োগে কোনও সংরক্ষণ নীতি মানা হত না। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সংরক্ষণ নিয়োগ মেনে স্কুলের প্রধানশিক্ষক নিয়োগ করা হোক। সেই দাবি মেনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে প্রধানশিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধি রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেই বিল পাস হলেই নিয়োগ শুরু হবে। আইন পাস হওয়ার পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে নির্দেশিকা আসলেই প্রধানশিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে বলে জানান এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের এক-তৃতীয়াংশ প্রধানশিক্ষক পদই ফাঁকা বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে স্কুল চালাতে। ২০১৮ সালের পর স্কুলগুলোয় কোনও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। রাজ্যে মাধ্যমিক স্কুল আছে ৯ হাজার ৯৭১টি। তার মধ্যে ৩ হাজারের বেশি স্কুলে প্রধানশিক্ষক না থাকায় স্কুলে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।