নিউজ ডেস্ক: রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষক পদে শূন্যপদ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষকের অভাবে বহু গ্রামের স্কুলে নিয়মিত পঠনপাঠন হয় না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। মঙ্গলবার এ বিষয়টি উঠেছিল বিধানসভার আলোচনা পর্বে। একটি প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বসু প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদ নিয়ে তথ্য দিলেন।
এরাজ্যের সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে (Primary School) শিক্ষকের শুন্য সংখ্যা আছে ৫ হাজার ৬৩৫টি। তবে এই শূন্যপদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রামে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। মামলার কারণে আটকে রয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ! বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী। একই সঙ্গে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষক নিয়োগ করার কথাও।
মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। যার জবাবে এই তথ্য দেন ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসু আরও বলেন, “আমি মনে করি শিক্ষকদের চাকরি জীবনের শুরুতে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে শিক্ষকতা করা উচিত!”
এদিন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ২০২৩ সালে ৯৫০০নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। এখনও প্রায় ৫৬৩৫ টি শূন্যপদ রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করছি দ্রুত নিয়োগ হবে। ব্রাত্য বসু আশা করছেন দ্রুত আইনি জটিলতা কেটে যাবে, সেক্ষেত্রে দ্রুতই শিক্ষক নিয়োগ হবে।