নিউজ ডেস্ক: এবার পুজোর মধ্যেই বড় খবর সামনে এল! কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট ভিত্তিতে সরকারি চাকরি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল। কর্মরত কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে সহমর্মিতার কারণ তাঁর নিকটাত্মীয়কে চাকরির দেওয়া হয়। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিধি সরলীকরণের পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য (Government of West Bengal)।
জানা যাচ্ছে, কর্মরত কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর নিকটাত্মীয়ের চাকরির (Government Jobs) ক্ষেত্রে ওই কর্মীর মা-বাবার এনওসি-র দরকার হবে না। তবে এক্ষেত্রে এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মীর নিকটাত্মীয় বলে কারা বিবেচিত হবেন তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শ্রম দফতরের সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি কর্মীর (Government Employees) পরিবারের সদস্য বলতে বোঝানো হবে তাঁর স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে। কন্যা অবিবাহিত হলেই শুধু বাবার চাকরি পাওয়ার যোগ্য, এমনটা নয়। তিনি বিবাহিতা কিংবা বিবাহবিচ্ছিন্না হলেও বাবার প্রয়াণের পর চাকরি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
এক্ষেত্রে প্রয়াত সরকারি কর্মীর মা-বাবার থেকে আর নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়বে না। কারণে তাঁরা আর সরকারি চাকরি পেতে পারেন না। তবে তাঁদের বদলে যারা চাকরি পাবেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীর মা-বাবার দেখভাল করতে হবে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা আছে, সরকারি কর্মীর মৃত্যুর পর যিনি তাঁর জায়গায় চাকরি পাবেন, তিনি পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের দেখাশোনা করছেন, এই মর্মে প্রত্যেক বছর মুচলেকা দিতে হবে।
কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যুর পর যদি দেখা যায় তাঁর পরিবারের একাধিক ব্যক্তি কম্প্যাশনেট নিয়োগের দাবিদার, সেক্ষেত্রে কী হবে সেটাও জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একজন চাকরির জন্য আবেদন করবেন এবং বাকিদের এনওসি দিতে হবে। তাহলেই সেই আবেদন বৈধ হিসেবে গণ্য করবে সরকার (Government of West Bengal)। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী চাকরি পেয়ে যদি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তাহলেও প্রাক্তন স্বামীর বাবা-মা সহ পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের দেখভালের জন্য খোরপোষ দিতে হবে।