বড় খবর: ভুয়ো সার্টিফিকেট কাণ্ডে বিরাট পদক্ষেপ নবান্নের, স্ক্যানারে ইনস্পেক্টর র‍্যাঙ্কের দুই অফিসার, কেন?

746
নবান্ন ছুটি ঘোষণা

নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার বড় খবর সামনে এল। ঠিক জেন সর্ষের মধ্যেই ভূত, ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট ধরতে নেমে স্ক্যানারে দুই BCWO-ইন্সপেক্টর। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে এ বার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য। 

প্রাথমিক তদন্তে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির পিছনে এই দুই আধিকারিকের যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। খড়্গপুর ও ব্যারাকপুরের, এই জায়গার অনগ্রসর শ্রেণি বিভাগেরই ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই অফিসারকে কারণ দর্শানোর নোটিসও ধরানো হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, খড়্গপুর ও ব্যারাকপুরের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই কর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর। তাঁরা ব্লক স্তরের আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও। ব্লকে BCWO (ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার অফিসার) শংসাপত্র ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করেন। মহকুমা, জেলা স্তরেও এমন অফিসার থাকে। নবান্নের নির্দেশ, এসডিওদের দিয়ে এ বার থেকে জাতিগত শংসাপত্র যাচাই করতে হবে। 

পড়ুন:  TET Result: ২০২৩ সালের টেটের রেজাল্ট কবে? হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল বার বার। পিএইচডি, এমএ-এর মতো ডিগ্রি প্রাপক ৪৫ জনের জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরকে যাচাই করার জন্য পাঠিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া কর্মরত বেশ কয়েকজন শিক্ষকের জাতিগত শংসাপত্র যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পাঠায়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ভুয়ো শংসাপত্রর অভিযোগ সামনে এসেছে।