SSC: ‘আমরাও যোগ্য… প্রতিটি ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি!’ বড় দাবি ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের

3428

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারা হয়েছে। যোগ্য এবং অযোগ্য বিতর্ক চলছে রাজ্যজুড়ে। অযোগ্য তকমা পাওয়া শিক্ষকরাও চাকরি বহাল রাখতে নামছেন মাঠে। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালে এসএসসির নিয়োগের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের। তাঁদের মধ্যে যে সমস্ত ব্যক্তিকে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। যোগ্যদের কারও চাকরি যাবে না বলে নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে চাকরিহারাদের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

পড়ুন:  SSC: অক্টোবর মাস জুড়ে প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের সূচি প্রকাশ, আদালত অবমাননার মুখে এসএসসি?

বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠক করেন ‘অযোগ্য’ তকমা পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয় ‘ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরাম’-র তরফে। এই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও কটাক্ষ করেন।

সেখানেই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না পূর্ণনন্দ বিদ্যাপীঠের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ভূগোল বিভাগের শিক্ষক সৌমেন সামন্ত জানিয়েছেন, ‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য ও অযোগ্য কোথাও পৃথক করেননি!’

পড়ুন:  SSC: টাকা ও সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়নি, তবে কেন শাস্তির মুখে পড়তে হবে শিক্ষকদের? উঠে এল বিরাট প্রশ্ন

পূর্ব মেদিনীপুরের নিকাশি হাইস্কুলের গ্রুপ-ডি কর্মী কল্যাণ দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরাও ২৬ হাজার চাকরিচ্যুত বা চাকরিহারাদের মধ্যে রয়েছি। মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া-সহ এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতাদের তরফে আমাদের দুটো ভাগে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমরাও প্রতিটি ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি করছি। একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। কোন শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ যেটা করা হয়েছে সেটাকেও আমরা ধিক্কার জানাই। দীর্ঘ এতদিনের আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এবং আইনের উপর ভরসা রেখে আমরাও যাতে আমাদের চাকরিতে পুর্নবহাল হতে পারি সেই আশা রাখছি।’

পড়ুন:  Upper primary teacher appointment: বিপাকে বহু হবু শিক্ষক! সুপারিশপত্র থাকা সত্ত্বেও স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে সমস্যা

তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আশার বাণী শুনিয়েছেন। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কিছু চক্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। এসএসসি অফিসকে সিজ করে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছিল। তারপরও আজ পর্যন্ত কেন করা গেল না? সুপ্রিম কোর্টও কোথাও সেগ্রিগেশন করতে পারেনি বা যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করে পৃথক করতে পারেনি। আমরাও যোগ্য। তাই আইনি পদ্ধতিতেই আমাদের চাকরি ও পরিবার রক্ষা করা হোক।’