WBSSC: সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি হারানোর পরেই ইতিহাসের ‘দিদিমণি’র কাণ্ডে গভীর উৎকণ্ঠায় পরিবার

5736
শিক্ষক সুপ্রিম কোর্ট

SSC, সুপ্রিম কোর্ট: প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। বৃহস্পতিবারই SSC-র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মী।

চাকরিহারাদের তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের রায় বাঘিনী হাই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা রুমা সিং। চাকরি হারিয়ে শোকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই শিক্ষিকা।

জানা যাচ্ছে, আগে থেকেই এই শিক্ষিকার কিছু ধার ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই তাঁদের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ আশা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত তাঁদের চাকরির বিষয়টি দেখবে বলে তাঁরা আশাবাদী ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।  আদালতের এই নির্দেশে যেন মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় ওই শিক্ষিকার। এরই মধ্যে পাওনাদারদের কয়েকজন তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল বলে অভিযোগ।

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: ঝাড়খন্ডে 60,000 শিক্ষক নিয়োগ, কারা আবেদন করতে পারবেন?

পাওনাদারদের এই ‘চাপ’ সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষিকা। এমনকী একটি সুইসাইড নোট পর্যন্ত লিখে ফেলেছিলেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁর পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে বাঁচিয়েছেন। দ্রুত ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

পড়ুন:  SSC: তবে কি চলতি সপ্তাহে মেধা তালিকা প্রকাশের কোনও সম্ভাবনা নেই? এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় খবর এল

মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানেই নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন রুম্পা। সুইসাইড নোটের ছত্রেছত্রে সমস্যার কথা লিখেছেন তিনি। ক্ষমা চেয়েছেন বাবা-মা ও প্রেমিকের কাছে। তবে বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

রুম্পাদেবী লিখেছেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন। জীবনে নতুন মানুষ এসেছিলেন। মা-বাবা, প্রেমিককে নিয়ে দিব্য কাটলেও মাথায় দেনা ছিল অনেক। চাকরি যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই নাকি পাওনাদাররা বাড়িতে হামলা শুরু করেছিলেন। তাঁরা তখনই পাওনা ফেরতের দাবি করেন বলে অভিযোগ। যারা সহযোগিতা করার চেষ্টা করে তাঁদেরও অভিযুক্তরা হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। একে চাকরি হারানোর যন্ত্রণা, তার উপর পাওনাদারের চাপ, সবমিলিয়ে প্রবল মানসিক চাপে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চিঠিতে লিখে গিয়েছে কয়েকজনের নাম ও ফোননম্বর। প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রুম্পা।