SSC সুপ্রিম কোর্ট: ফের এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলা পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে SSC-এর প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল। তবে এদিনও মামলাটির শুনানি হল না। মামলাটির শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। সময়ের অভাবে এদিন শুনানি করা যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই মামলার শুনানি আগামীকাল হতে পারে। মামলাটি ২৩ নম্বর সিরিয়ালে আছে।
এই মামলাটির উপরেই নির্ভর করছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎ। আজ সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল। চাকরিহারাদের স্কুলে ফেরানোর রক্ষাকবচ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। CBI-এর তদন্তের অগ্রগতির উপর নির্ভর করছে মামলা।
OMR, হার্ডডিস্ক নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারবে CBI? কোন বিষয়ের উপর বিবেচনা করা হবে আগেই জানায় আদালত। আজ মামলার দিকে তাকিয়ে ছিল চাকরিহারাদের পাশাপাশি বঞ্চিত প্রার্থীরাও। তবে ফের মামলাটি পিছিয়ে যাওয়ায় আশাহত সবাই।
২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
এর আগে বেশ কয়েকবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি জানান, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সে দিন অগ্রাধিকার দিয়ে এসএসসি মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এদিনও শুনানি হলনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির একটি মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ট্যাক্স সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলায় এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। আমি যানি অনেকে ধৈর্য হারাচ্ছেন। কিন্তু বিচারব্যবস্থার ওপর ভরসা করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।’