নিউজ ডেস্ক: কারা কারা যোগ্য, কারা কারা স্কুলে যেতে পারবেন? এবার DI-দের কাছে তালিকা পাঠাল স্কুল শিক্ষা দফতর। জেলায় জেলায় স্কুল পরিদর্শকদের কাছে তালিকা পাঠাল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর। সূত্র মারফত খবর, যোগ্যদের তালিকা সরকারকে দিলেও, প্রকাশ্যে আনবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)।
এদিন, যোগ্যদের নামের তালিকা জেলায় জেলায় ডিস্ট্রিক্ট ইনচার্জদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হল। সুপ্রিম নির্দেশ মেনেই নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা কাজে যোগ দেবেন। যথা নিয়মে মিলবে বেতনও।
জানা যাচ্ছে, এসএসসি বুধবারের মধ্যে মোট তিনটি তালিকা স্কুল শিক্ষাদপ্তরে পাঠাবে। একবারে নিষ্কলঙ্ক বা বৈধ যাঁরা, যাঁদের পরীক্ষা-সহ যাবতীয় প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা নেই তাঁদের নামের তালিকা। দ্বিতীয় তালিকায় নাম থাকবে যাঁদের ওএমআর-সহ নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। সম্পূর্ণভাবে যারা অযোগ্য তাদের নামের তালিকাও তৈরি হবে।
এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “ডিআইদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা পাঠালেও বিদ্যালয় স্তরে তা এখনো আসেনি। পরিষ্কারভাবে টেনটেডদের তালিকা বিদ্যালয় গুলোকে পাঠাতে হবে। না হলে বিদ্যালয়ের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় শিক্ষা কর্মীরা অনেকেই আনটেন্টেড হওয়া সত্বেও তাদের বেতন সাবমিট করা যাবে না এটা অত্যন্ত পরিতাপের। পর্ষদের পক্ষ থেকে শিক্ষাকর্মীদের বিষয়টি আদালতে গুরুত্ব দিয়ে আনা হলো না কেন? তাঁদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আদালতে আনা হোক যাতে তাঁদের বেতনও সাবমিট করা যায়। সমস্ত যোগ্যদের স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ে সসম্মানে পুনর্বহালের জন্য এসএসসি ও রাজ্য সরকারের কাছে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন যোগ্য ১৭২০৬ জন। এসএসসি জানালো মোট ১৫৪০৩ জন যোগ্য। কে ঠিক? প্রমাণ দিয়ে বাইরে তালিকা প্রকাশ করতে অসুবিধে কোথায়? সমস্ত মিরর ইমেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে তার মধ্য দিয়ে যোগ্য অযোগ্য বাছাই করে স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান করা হোক। লুকোচুরি চলছে কেন? তথ্য ছাড়া এই বক্তব্য আমরা মানছি না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম রায়ে এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি গিয়েছে। চাকরিহারা ‘যোগ্য’দের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।