নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। আর পুজোর আগেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে চিঠি গেল জেলায় জেলায়। স্কুল শিক্ষকদের পেনশন নিয়ে জটালতা কমাতে বড় ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই মতো এবার বিকাশ ভবন থেকে প্রতি জেলায় স্কুল পরিদর্শকের কাছে নির্দেশ গেল। স্কুল ইনস্পেক্টরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, নকুল চন্দ্র দাস বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মামলার প্রেক্ষিতে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। তাতে সকল জেলার স্কুল ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা সার্ভিসে কয়েকদিনের ঘাটতি থাকা শিক্ষকদের বিস্তারিত তথ্য বিকাশ ভবনে পাঠান। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই সেই সংক্রান্ত তথ্য ও নথি পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসলে সরকারি অবসরকালীন ভাতার অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে ন্যূনতম টানা ১০ বছর চাকরি করতে হত। তবে ৯ বছর ৬ মাসের বা তার ঊর্ধ্বে চাকরি করে থাকলেও পেনশন মিলত। তবে তা নিয়ে থাকত জটিলতা। এই আবহে পুজোর আগে শিক্ষক দিবসেই পেনশন ব্যবস্থায় বড় বদল আনার ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। যার ফলে এবার শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে।
এই নিয়ে শিক্ষক দিবসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছিলেন, ‘টানা ৯ বছর ৬ মাস অর্থাৎ দশ বছরের নীচে কর্মজীবন থাকলেও শিক্ষা দপ্তরের ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেনশন স্কিমের অধীনে আনা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘শিক্ষকদের পেনশন পেতে গেলে আইন অনুযায়ী ন্যূনতম ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি তার কম কাজ করে থাকেন তা হলে শিক্ষা দফতর এই ক্ষমতার প্রয়োগ করে পেনশন দিতে পারে। কিন্তু সংস্থান থাকা সত্ত্বেও তা মানা হত না। ফলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হত। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ধরনের কোনও জটিলতা সামনে এলে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের অবসরকালীন ভাতা বা পেনশনের অনুমোদন দেবে।’