নিউজ ডেস্ক: এবার এক বিরাট দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণের অভিযোগ সামনে এল। দুর্নীতির অভিযোগে বারেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের। আদালোতে বারেবারে মুখ পুড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এবার স্বজনপোষণে সিবিআই তদন্ত যোগীরাজ্যে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরাট অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে।
মোট ২.৫ লক্ষ চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ঝাড়াই-বাছাই করে ১৮৬টি পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২০ শতাংশ পদে নিয়োগ করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের, যাঁরা ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের বিভিন্ন নেতা বা মন্ত্রীর নিকটাত্মীয়। এমনকী, উচ্চপদস্থ আমলাদের আত্মীয়দের ঘুরপথে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে।
জানা গেছে, তিন বছর আগে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য আইনসভার উভয়কক্ষে, অর্থাৎ বিধানসভা এবং বিধান পরিষদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাসময়ে হলেও নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে।
অভিযোগ উঠছে, নিযুক্ত কর্মীদের অনেকেই হয় কোনও বিজেপি নেতা, বা মন্ত্রী, বা কোনও উচ্চপদস্থ আমলার ঘনিষ্ঠ বা নিকটাত্মীয়। এমনও দাবি করা হয়, পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন অনেক ব্যক্তিই। এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা।
এলাহাবাদ আদালতে মামলা রুজু হয়। রাজ্য সরকারকে ডেকে পাঠানো হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেখানে সরকারের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়, দুর্নীতির অভিযোগের পর তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য সংস্থা। এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর দুর্নীতি’ বলে আখ্যা দেয় আদালত। মামলার দায়িত্বও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা। সরকারি চাকরিতে সৎ ও স্বচ্ছ নিয়োগ না করে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের জন্য বিজেপিকে তোপ দাগেন বিরোধীরা। একেই রাজ্যে তেমন নিয়োগ নেই, তারউপর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে যোগী সরকার।