উৎসশ্রীতে শিক্ষক বদলি নিয়ে ভয়ংকর অভিযোগ সামনে এল, অভিকদের কীর্তিতে হতবাক! ৪ লাখ টাকায় সার্টিফিকেট

280
উৎসশ্রীতে শিক্ষক বদলি

উৎসশ্রীতে শিক্ষক বদলি

উৎসশ্রীতে শিক্ষক বদলি: আরজি কর কাণ্ডের পর প্রকাশ্যে এসেছে সন্দীপ ঘোষের ‘সিন্ডিকেট’! আর এই সিন্ডিকেটের অন্যতম মাথা চিকিৎসক অভীক দে। দিন যত এগোচ্ছে এই অভিকের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ সামনে আসছে। তার ‘থ্রেট কালচার’ যত শুনবেন ততই চমকে যাবেন! বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গভীর রাতে ‘গুণ্ডাগিরি’ চালিয়ে ক্যান্টিন দখলের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তবে এবার বেশ বিপাকে অভীক। তাকে সাসপেণ্ড করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। 

এরই মধ্যে আরও একটি বিরাট অভিযোগ সামনে এল তাঁর বিরুদ্ধে। উৎসশ্রী শিক্ষক বদলি নিয়ে ভয়ংকর তথ্য সামনে এলো। অভিক দের কীর্তির অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে এল। অভিযোগ উৎসশ্রী প্রকল্পে বদলি পেতে অবৈধ সার্টিফিকেট দেওয়া হত এই গ্রাউন্ডে বদলি পেতে ইচ্ছুক শিক্ষকদেরকে। আর এর জন্য মোটা টাকা নেওয়া হত। অভিযোগ অভিক এবং তাঁর সতীর্থরা এই কাজ করতেন।

সিবিআইয়ের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাল বিজেপি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের কাছে দাবি তুলেছে বিজেপি। মেল মারফত সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র।

এই বিষয়ে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, উৎসশ্রী প্রকল্পে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে পছন্দ মত স্কুল পেতে নেওয়া হত ৪ লাখ টাকা। যে স্কুলে শূন্যপদ নেই, সেখানে শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর যদি তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি স্কুল বেছে নেওয়া হতো তবে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা প্রাইমারীতে চাকরি পেয়েছেন তাদের বাড়ির কাছে ট্রান্সফার পেতে ২ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

মৃত্যুঞ্জয়ের আরও দাবি, ২০১৭ সালে নিয়োগ এবং ২০২০-২১ সালে অনেককেই বলতে শুনেছেন, ৮ লক্ষ দিয়ে চাকরি মিলেছে আর ২ লক্ষ দিয়ে ট্রান্সফার! এই নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, ‘কোনও বেআইনি কার্যকলাপ ধরা পড়লে এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দ্রুত সেই অ্যাকশন নেওয়া হোক’। 

পড়ুন:  Big News: সুপ্রিম কোর্টে OBC মামলা ঝুলছে! এরই মধ্যে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার

যদিও এই বিষয়ে তৃনমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সে ব্যক্তিগত ভাবে কি করেছে তা নিয়ে আমাদের তো কিছু বলার নেই। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখুন, ব্যবস্থা নিক। অভিযোগ উঠেছে, সিবিআই তদন্ত করে দেখুক, পুলিশ দেখুক।