নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্যে বৃহস্পতিবারেই সুখবর এসেছে। তবে এরাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য কোনও সুখবর নেই। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যেখানে নতুন বেতন কমিশন পাচ্ছেন, সেখানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনেও সময় মতো মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হচ্ছে না বাংলার সরকারি কর্মীদের।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফ থেকে বড় উপহার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। ক্যাবিনেটে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অষ্টম বেতন কমিশন। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হতে চলেছে। তবে এরাজ্যের সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি নেই। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় থাকা রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
এই আবহে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই নিয়ে শুভেন্দু লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অষ্টম পে-কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন। যার ফলে ৪৯ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। সপ্তম বেতন কমিশনের সংস্কারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অষ্টম বেতন কমিশনে। তবে ঋণে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ষষ্ঠ পে-কমিশনে বাঁধা পড়ে রয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পরদিন ঋণ বাড়িয়ে চলেছেন। তাই রাজ্য নতুন বেতন কমিশন তো দূর, ডিএ দিতে পারে না। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতনের ফারাক আরও বাড়ছে।’
ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধনের জন্য অষ্টম বেতন কমিশনে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে কমিশন গঠন করা হবে। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অষ্টম বেতন কমিশন চালু হওয়ার বিষয়টি দেখভালের জন্য শীঘ্রই চেয়ারম্যান ও দু’জন সদস্য নিয়োগ করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৫৩ শতাংশ হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক বেড়েছে আরও। ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। যদিও এই নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের।