Homeভারত'আমায় ক্ষমা করে দেবেন...কিন্তু আমি সন্তুষ্ট', কেন এমন বললেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি...

‘আমায় ক্ষমা করে দেবেন…কিন্তু আমি সন্তুষ্ট’, কেন এমন বললেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়? জেনেনিন

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে বাংলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন মামলা চলছিল। বাংলার যে ৫টি  মামলার মিমাংসা হল না সেগুলি হল, এক, আর জি করে ধর্ষণ-খুন মামলা, দুই, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।

নিউজ ডেস্ক: আজ (8 নভেম্বর) ছিল CJI বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের শেষ কার্যদিবস। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিযুক্ত করেছেন। বিচারপতি খান্না বর্তমান সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না 11 নভেম্বর 2024-এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। চন্দ্রচূড় ২০২২ সালে  সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষনা করেছেন। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শেষ দেখে যেতে পারলেন না তিনি।

এদিন এজলাসে বসে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) থেকে বিচার দিতে পারব না। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট।’

খাতায়কলমে তাঁর অবসরের দিন আগামী রবিবার, ১০ই নভেম্বর হলেও শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ছিল চন্দ্রচূড়ের কর্মজীবনের শেষ দিন। শেষ দিন তিনি বললেন, “আমায় ক্ষমা করে দিয়েন, যদি আমি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি। আমার জীবনের পথ চলতে এই কোর্ট খুব সাহায্য করেছে। আমাদের এমন এমন মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় যাদের হয়ত কমবেশি চিনি আমরা। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই কোর্টে যদি আমি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। এত সংখ্যক মানুষ আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।”

পড়ুন:  'ডিএ দয়ার দান নয়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার, মান্যতা দিয়েছে রাজ্যই', তবে বকেয়া DA কী হবে?

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে বাংলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন মামলা চলছিল। বাংলার যে ৫টি  মামলার মিমাংসা হল না সেগুলি হল, এক, আর জি করে ধর্ষণ-খুন মামলা, দুই, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তিন, দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের ১২ লক্ষের বেশি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। চার, গত জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনে এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন। পাঁচ, গত জানুয়ারি মাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলা। 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
error: Content is protected !!