নিউজ ডেস্ক: আগামী বর্ষের জন্য ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানে গরমে মাত্র ৯ দিন ছুটি রাখা হয়েছে, আর পুজোয় ২৫ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে! পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক সংগঠন।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন দ্য অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস (এএসএফএইচএম) এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার পরিপন্থী। পর্ষদের প্রকাশিত ক্যালেন্ডার থেকে স্পষ্ট ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের কথা মাথায় রাখা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজ্য মূলত গ্রীষ্মপ্রধান। পুজোর সময় এই গরমটা থাকে না। বরং গরমের সময় রাজ্য যে ছুটিটা দিতে বাধ্য হয়, তাতে পুজোর ছুটি কমানো উচিত ছিল। কারণ, মাসের পর মাস ক্লাস বন্ধ রাখার ফলে সিলেবাস শেষ করতে বেগ পেতে হয়।”
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “পূজাবকাশে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে আর হাইস্কুল বন্ধ থাকবে। এই বৈষম্য বন্ধের দাবি বহুবার তুলে ধরেছিলাম। আজকে প্রাথমিকের ছুটির তালিকায় সেই মান্যতা পেয়েছে। গরমে দীর্ঘ ছুটি না দিয়ে মর্নিং স্কুল চালু করার দিকে যেতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে।”
অভিভাবিকা তনুরিমা কুণ্ডু বলেন, “কেন্দ্রের স্কুলগুলিতে গরমে দেড় থেকে দুমাস ছুটি থাকে। অথচ আমাদের রাজ্যে পরিকল্পনার অভাবে মাসের পর মাস স্কুল বন্ধ থাকে। এই অব্যবস্থা বা পরিকল্পনার অভাব, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। শিক্ষা দফতর এটা না ভাবলে কে ভাববে? কীসের স্বার্থে কেন বারে বারে এই অব্যবস্থা বছরের পর বছর চলছে?”