নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষার পর আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হতে চলেছে। যদিও প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চাকরি পেয়েও তা প্রত্যাখ্যান করলেন প্রায় ৫০০ প্রার্থী। মূলত পছন্দের জায়গায় পোস্টিং না পাওয়ায় এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগপত্র গ্রহণ করেও শেষ পর্যন্ত চাকরিতে যোগ দেননি। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
জানা যাচ্ছে, যে প্রার্থীরা চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী স্কুল পাননি। অনেকের ক্ষেত্রেই বাড়ির কাছাকাছি বা সুবিধাজনক স্থানে পোস্টিং মেলেনি। প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলে নিয়োগপত্র পাওয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। এই প্রার্থীরা তাঁদের চাকরিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা লিখিতভাবে এসএসসি-কে জানিয়ে দিয়েছে।
যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি যে, এই সৃষ্ট হওয়া শূন্যপদগুলি পূরণের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুনরায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রার্থীদের ডাকা হবে, নাকি অন্য কোনও পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে, তা এখনও ধোঁয়াশায়।
এদিকে, উচ্চ প্রাথমিকে ডাক পেতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলেন শিক্ষকদের একাংশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে SSC চাকরি বাতিলে ছিল তাঁদেরও নাম। এই যোগ্য শিক্ষকরা আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আগে নাকচ করছিলেন। এখন এর কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এমন ২৬৪ জন শিক্ষক। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় SSC-কে দু’সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এঁরা যেহেতু সরকারি চাকরিই করতেন তাই নতুন পদ সৃষ্টি করে চাকরি ফেরানো যেতে পারে। মামলায় বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।