SSC শিক্ষক নিয়োগ: ফের পথে নামছেন চাকরি প্রার্থীরা। উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাজপথ দখল করবেন হবু শিক্ষকরা। আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা আগামী সোমবার 23 তারিখ কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি, রাজপথে ঐতিহাসিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
আগামী সোমবার আপার প্রাইমারি হবু শিক্ষকদের রাত দখল অভিযান! ধারাবাহিক কাউন্সিলিং ও 14052 জনের নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে এক চাকরি প্রার্থী সোস্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “শিক্ষা, শিক্ষার্থী, স্কুল বাঁচানোর লড়াই, সর্বোপরি চাকরি প্রার্থীদের হকের ন্যায্য পাওনা আদায়, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আত্মসম্মান রক্ষার সংগ্রাম। আপনাদের সকলের অংশগ্রহন ও উপস্থিতি কাম্য।”
আরও এক চাকরি প্রার্থী মন্তব্য করেছেন, কোর্টের অর্ডার ছাড়াই ১৪০০০ চাকরি প্রার্থীর OMR চেক করেছিল যে কমিশন সেই কমিশন এখন নিয়োগের ঢালাও অর্ডার হওয়ার পরেও মাত্র ৮৪ জন ক্যান্ডিডেট কে বাদ দিয়ে প্যানেল টা বার করতে ভয় করছে। আসলে নিয়োগ বিলম্বিত করার গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নিয়োগ করার অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কমিশন এখনো পর্যন্ত কাউন্সিলিং নোটিশ জারি করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাই নিজের হকের চাকরি সুনিশ্চিত করতে আগামী সোমবার দলে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ জটিলতা এড়াতে ফের আদালতে যাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (ssc)। কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ হাজার ৫২ জনকে নিয়োগ করতে হবে। এই নির্দেশকে মান্যতা দিলে ফের মামলা দায়ের হতে পারে বলে মনে করছে কমিশন। এই অবস্থায় জটিলতা এড়াতে চলতি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএসসি।
এই বিষয়ে বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি আদালতের কাছে এটি সংশোধন না করায়, তা হলে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। আদালতের কাছে আবেদন করার পরে কবে সংশোধিত নির্দেশ আসবে, তার উপর নির্ভর করবে পুরো প্রক্রিয়া। তা পুজোর আগে বা পরেও হতে পারে।”
নতুন করে নিয়োগ নিয়ে যাতে কোনও জটিলতা না হয়, তার জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে এসএসসি। জানা যাচ্ছে ৪ অক্টোবর হয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনে পূজোর ছুটি পড়ছে। তার আগে যদি আদালত সংশোধন করে দেয়, তা হলে পূজোর আগে আরও দু’দিন সময় নিয়ে প্যানেল প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে কমিশনের তরফে। তবে পুরো বিষয়টাই আদালতের নির্দেশের উপর নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছে এসএসসি।