SSC শিক্ষক নিয়োগ: আদালতের নির্দেশে জট কেটেছে। এই অবস্থায় আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সোমবার থেকেই শুরু হবে বাংলা মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। দীর্ঘ আট বছরের বেশি সময়ে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ফলে রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ওই স্কুলগুলিতে শিক্ষকের আকাল থেকেই গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে মেধাতালিকা ভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের একাংশ কাউন্সেলিংয়ে অংশ গ্রহণ করবেন না। মূলত অন্য সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়ায় তাঁরা শিক্ষক পদে স্কুলে যোগ দিতে ইচ্ছুক নন।
তেমনই একজন হলেন নদিয়ার পায়রাডাঙার অমিতকুমার মণ্ডল। তিনি বাংলার কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছেন। তবে তিনি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক পদে স্কুলে যোগ দেবেন না। তিনি এখন ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে কর্মরত। সেই পদেই তিনি চাকরি করতে চাইছেন। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি ছেড়ে এসএসসির কাউন্সেলিংয়েই যোগ দেবেন না তিনি।
বাংলায় সাধারণ ক্যাটেগরিতে ২৩ ও তফশিলি জাতি ক্যাটেগরিতে ৩ নম্বরে রয়েছেন। তিনি এখন ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে কর্মরত।
তিনি জানান, সব মিলিয়ে তাঁর এখন মাইনে এসএসসি-র শিক্ষকদের দ্বিগুণ। সঙ্গে একাধিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন, সন্তানদের এডুকেশন অ্যালাউন্স বাবদ বছরে ৩৩,৭৫০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গে সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের কোনও হেল্থ স্কিম নেই। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মতোই মেডিক্লেমের সুবিধা রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে বেড়ানোর জন্য এলটিসি আছে।
আসলে সরকারি সাহার্য্য প্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক পদে যোগ দিলে ভবিষ্যতে প্রমোশন হয়না। প্রধান শিক্ষক নাহলে কর্মদিবসের শেষ দিন পর্যন্ত সহকারি শিক্ষক হিসাবে কাজ করে যেতে হয়। অন্যদিকে সরকারি দপ্তরে চাকরি পেলে পরে প্রোমোশনের সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে বেতন সহ বিভিন্ন সুবিধা মেলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এরপর কাউন্সেলিং সংক্রান্ত নোটিশ দেয় এসএসসি। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই নোটিশ দেওয়া হয়। এর আগে দু’বার মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয়। দীর্ঘদিন ধরে আপার প্রাইমারি নিয়ে মামলা চলে। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়। তবে আদালত বলে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।