SSC শিক্ষক নিয়োগ: আদালতের নির্দেশ মেনে প্রায় এক যুগ পর উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে স্কুলে স্কুলে প্রকৃত শূন্যপদ আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ওয়েবসাইটে আপলোড করা পোস্টের ফারাক নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। হবু শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুল সমস্যায় পড়েছে।
বীরভূম থেকে কৃষ্ণনগর, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার সর্বত্র একই চিত্র সামনে আসছে। ‘ভুল’- এর তালিকায় নাম রয়েছে বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ার-সহ অন্যান্য জেলাও। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর তুলনায় উত্তরবঙ্গে ভুলভ্রান্তি কিছুটা কম বলেই জানা যাচ্ছে। তবুও এই ভ্রান্তি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
তবে সমস্যার সমাধানে দফায় দফায় আলোচনা চলছে বিকাশ ভবনের সঙ্গে এসএসসি-র কর্তাদের। এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘শূন্যপদ নিয়ে যেমন যেমন অভিযোগ ও ভুল তথ্যের খবর আসছে, সেটা একসঙ্গে করে বিকাশ ভবনে পাঠাচ্ছি। অক্টোবরের শুরুতে যে তালিকা আপলোড করা হয়েছিল, স্কুলশিক্ষা দপ্তর ও অধিকরণ বিভাগ সেটা সংশোধন করে দিলে নতুন তালিকা ৫-৬ নভেম্বর নাগাদ আপলোড করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আরবি ভাষার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ হয়েছে।’
কিন্তু কেমন বিভ্রান্তি সামনে আসছে? এই নিয়ে একটি স্কুলের তথ্য তুলে ধরলেই সমস্যাটি বোঝা যাবে। বীরভূমের মুরারই এক ব্লকের কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ সুকান্ত দাসের কথায়, ‘এসএসসি-র তালিকায় আমাদের স্কুলে চারটে শূন্যপদের উল্লেখ আছে। তার মধ্যে তিনটি পদই ভুল। আমাদের স্কুলে আরবি ও সংস্কৃতে কোনও ভ্যাকেন্সি নেই। পিওর ও বায়ো সায়েন্সে শূন্যপদ আছে। অথচ ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে আরবি ও সংস্কৃতে ভ্যাকেন্সি। এমনকী বাংলার শূন্য পদটি তফশিলি জাতি ক্যাটেগরির হলেও, ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে উপজাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত। ইতিমধ্যে ভুল সংশোধনে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই-মাধ্যমিক), কমিশনারেট এবং এসএসসি-র অফিশিয়াল ই-মেলে যোগাযোগ করা হয়েছে।’