SSC শিক্ষক নিয়োগ: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষম্পদে যোগ দিয়ে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) রিজিওনাল লেভেল সিলেকশন টেস্টে সফল হয়ে মালদার এক স্কুলে এতদিন শিক্ষাকর্মী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী।
মালদার এক স্কুলে এতদিন শিক্ষাকর্মী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষিকা হিসাবে সম্প্রতি এসএসসি-র সুপারিশ পেয়েছেন তিনিও। শিক্ষাকর্মী পদ থেকে লিয়েনে জেলারই এক স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে জয়েন করেছেন। কিন্তু ডিআই অফিস অ্যাপ্রুভাল দেয়নি। ফলে বেতন আটকে রয়েছে।
স্কুলশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা আবার বলছেন, রাজ্যের সব স্কুলে এখন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়া হয় আইওএসএমএস পোর্টালের মাধ্যমে। সেখান থেকে আগে শিক্ষাকর্মীর নাম ডিলিট করতে হবে। তা না হলে যাঁরা শিক্ষক পদে জয়েন করেছেন, তাঁদের ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে। সে জন্যেই অ্যাপ্রুভাল ও বেতন আটকে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিকাশ ভবনের কর্তাদের বক্তব্য, আগের চাকরিতে ইস্তফার পরেই শিক্ষকতায় যোগ দিয়ে তার পর সার্ভিস কন্টিনিউয়েশনের জন্যে স্কুলশিক্ষা ও অর্থ দপ্তরে আবেদন করতে হবে।
তবে শিক্ষকদের প্রশ্ন, ‘আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে এই নিয়োগ হচ্ছে। শিক্ষক হিসাবে কনফার্মেশন পাওয়ার আগেই ক্লার্কের চাকরিতে ইস্তফা দিলে ভবিষ্যতে আবার টিচার পদে আইনি জটিলতা হলে আমাদের কী হবে?’