SSC: এসএসসি ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল নিয়ে বড় খবর সামনে এল, জেনেনিন বিস্তারিত

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে বসা ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর ‘স্থগিতাদেশ’ দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

48079

এসএসসি মামলা, সুপ্রিম কোর্ট: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা নিয়ে গুরুত্বপুর্ন খবর সামনে এল। আজ ৫ই নভেম্বর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে। SSC 2016 এর 26 হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলাটি 18 নম্বর সিরিয়ালে আছে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলাটির শুনানি আছে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে বসা ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর ‘স্থগিতাদেশ’ দেন বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। এই মামলায় মোট ১১৭টি আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। মঙ্গলবার শুনানির জন্য তালিকাবদ্ধ এই মামলায় আবেদনকারীদের অন্যতম দুই আইনজীবী জয়দীপ মজুমদার এবং পার্থসারথি দেব বর্মনের মন্তব্য, চারদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া কঠিন। চাকরি বাতিল নিয়ে প্রধান বিচারপতি একবার মামলার শুনানির পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, এক লহমায় এভাবে এতজনের চাকরি চলে যেতে পারে না। গত ৭ মে এই মামলায় স্থগিতাদেশের পর থেকে সেভাবে শুনানি হয়নি। বারেবারে শুনানি পিছিয়ে গেছে।

চলতি সপ্তাহেই অবসর নিচ্ছেন দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। রবিবার ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। ফলে তাঁর বেঞ্চে রাজ্যের ৩ মামলার ফয়সালা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তাঁর বেঞ্চেই রয়েছে, আর জি কর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল এবং ১২ লক্ষ ওবিসি সংসাপত্র বাতিলের মতো বাংলার হাইপ্রোফাইল মামলা।

পড়ুন:  DA NEWS: মণিপুরে ৭% মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মীদের হতাশা অব্যাহত

মঙ্গলবার, উল্লেখিত তিনটি মামলাই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাবদ্ধ হয়েছে। আর জি কর মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিত গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

অন্যদিকে, অনগ্রসর শ্রেণির শংসাপত্র মামলায় এখনও পর্যন্ত সেভাবে শুনানিই হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। তবে কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেননি বিচারপতি চন্দ্রচূড়। রাজ্য সরকারের লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছেন। এই মামলার শুনানিও বারেবারে পিছিয়ে গেছে।