নিউজ ডেস্ক: নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে ফের পরীক্ষা দিতে চাইছেন না যোগ্য শিক্ষকেরা। এই অবস্থায় অবস্থান আন্দোলনের পাশাপাশি ফের আদালতের দ্বারস্থও হচ্ছেন ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, রিভিউ পিটিশনের আগে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া বা তার ফর্ম পূরণ করা যাবে না। যদি পরীক্ষা হয়, তা হলে তা নিতে হবে দু’টি ভাগে।
যোগ্য শিক্ষকরা বলেছেন যদি পরীক্ষা নিতেই হয় তবে, যে শিক্ষকেরা যোগ্যতার নিরিখে ২০১৬-র প্যানেলে চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁদের পরীক্ষা আলাদা করে নিতে হবে। কারণ, নতুন নিয়োগ পরীক্ষার বিধিতে তাঁদের যে সুবিধা দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে, তা পুরনো মামলার ভিত্তিতেই। এর ফলে তাঁদের পরীক্ষা আলাদা ভাবে গ্রহণ করলে চাকরিহারারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা পৃথক ভাবে দু’টি পরীক্ষাতে বসার সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া, ওবিসি মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। আর তাই সেই জটিলতার জন্য বহু যোগ্য শিক্ষকরা নিয়োগ পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাঁদের জন্য কী করবে সরকার, তারও স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এই ধোঁয়াশা কাটাতে হবে। তবে গতকালই ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেক্ষেত্রে ওবিসি সমস্যা কেটে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যোগ্য শিক্ষকদের দাবি, বর্তমান যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, সেই গেজেট অনুযায়ী আলাদা একটি পরীক্ষা নেওয়া হোক। নতুনদের থেকে আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হোক পুরনোদের। এই পরীক্ষা নেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কারা পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং কারা পারবেন না অর্থাৎ ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। শুধু তাই নয় তাঁদের দাবি, সরকার প্রায় চার হাজার ‘অযোগ্য’র তালিকাও প্রকাশ করুক।
চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে এমন বহু পরীক্ষার্থী রয়েছেন, যাঁরা শারীরিক ও মানসিক কারণে পরীক্ষা দিতে পারবেন না। তাঁদের সম্পর্কেও নয়া বিধিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তাই সরকারকে আইনি পথ অবলম্বন করে ‘রিপ্যানেল’-এর দাবি করতে হবে। এখন দেখার বিষয়টি শেষপর্যন্ত কোথায় দাঁড়ায়।
