SSC: ২০১৬-র নিয়মের বাইরে গেলেই বাতিল হয়ে যাবে; নয়া বিজ্ঞপ্তির ভুল ধরিয়ে বড় মন্তব্য বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের

9001
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

নিউজ ডেস্ক: সদ্যই স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। এবার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন সিনিয়র আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ২০১৬-র নিয়মের বাইরে গেলেই বাতিল হয়ে যাবে; নয়া বিজ্ঞপ্তির ভুল ধরিয়ে কমিশনকে সতর্ক করলেন বিকাশরঞ্জন।

স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম ঘিরে ফের বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি)। এর পাশাপাশি এবারের পরীক্ষার নিয়োগ বিধিও জানানো হয়েছে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 

আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ২০১৬ সালে যে নিয়মে পরীক্ষা হয়েছিল, তার বদল হলেই এবার পরীক্ষাও বাতিল হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে বিকাশরঞ্জন বলেন, “যাই করুন না কেন, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের যে নিয়ম ছিল, সেই নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিতে হবে। তার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিতে তারা বাধ্য। অন্য কিছু করলেই আবার বিপদে পড়বে।” 

পড়ুন:  হোলিস্টিক প্রগ্রেস রিপোর্ট কার্ড: স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নোটিফিকেশন, শিক্ষকদের নিয়ে ওয়ার্কশপ হলো না

এরপরই তিনি বলেন, “২০১৬ সালের নিয়মের বাইরে গেলেই তা বাতিল হয়ে যাবে। ২০১৬ সালে যে নিরিখে পরীক্ষা হয়েছিল, সেই নিরিখেই পরীক্ষা হতে হবে। দুর্নীতির জন্য ২০১৬-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই চাকরির সুবিধা কেউ পেতে পারে না, এটা বোঝা উচিত।” ওএমআর সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে SSCর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি।

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিরাট স্বস্থি রাজ্যের! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের

২০১৬ সালের বাতিল প্যানেলের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে SSC. আর তাতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাবিধিতে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। ২০১৬ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল ৫৫ নম্বরের। সেখানে এবার লিখিত পরীক্ষার পূর্ণমান বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। আগের প্রক্রিয়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৫ নম্বর। এবার তা কমিয়ে করা হয়েছে ১০। আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পার্সোন্যালিটি টেস্টের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০। সেখানে এবার ইন্টারভিউর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০, পড়ানোর দক্ষতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ ও অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ নম্বর। আর এখানেই দুর্নীতির সম্ভাবনা দেখছেন বিরোধীরা।