নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে ফের মুখ খুলল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, প্রমাণের আগে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে অবৈধ তকমা সেটে দেওয়া চলবে না। কিংকর বাবু মঙ্গলবার যোগ্য আন্দোলনরত শিক্ষকদের মঞ্চে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
অবৈধ তকমা প্রত্যাহারের দাবি
কিংকর অধিকারী বলেন, “প্রমাণের আগে অনুমানের ভিত্তিতে এসএসসি – ২০১৬-র প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে দেওয়া অবৈধ তকমা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তারপর প্রামান্য তথ্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বিচারে যারা অবৈধ তাদের বাতিল করা হোক। অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে বাতিল অথবা অবৈধ তকমা দেওয়া চলবে না।”
প্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
তিনি আরও বলেন, “যে প্রক্রিয়াটিকে দূর্নীতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে, তা যাচাই করার জন্য যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত হওয়া উচিত। প্রমাণিত হলে অবৈধদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। কিন্তু শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া বা অবৈধ ঘোষণা করা উচিত নয়।”
আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি যোগ্যদের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। কোনোভাবেই যোগ্যদের চাকরি থেকে হাটানো যাবে না।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
২০১৬ সালের SSC নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে। আদলত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে। যদিও এসএসসি এবং সিবিআই জানাই ৬ হাজারের মত অযোগ্যকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১৯ হাজার যোগ্য প্রার্থীকেও বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। এখন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে।