SSC সুপ্রিম কোর্ট: এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। দু’ঘণ্টার শুনানির মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা বলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এবং মূল মামলাকারীদের অন্য আইনজীবীদের তরফে গোটা প্যানেল বাতিলের জন্য জোরালো সওয়াল করা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, বাগ কমিটির রিপোর্ট, বিভিন্ন সময়ে হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও সিবিআইয়ের দায়ের করা হলফনামা উদ্ধৃত করে দাবি করা হয় যে, কিছুতেই যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সম্ভব নয়। আইনজীবীদের বক্তব্য, একটি বাছাই করতে গেলে অন্যটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদালত জানতে চায়, তা হলে সমস্যার সমাধানে কী করা যেতে পারে?
এই সময় বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সেক্ষেত্রে বয়সের সময়সীমা সরিয়ে দিয়ে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হোক। সবাই নন, যে ১১ লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের পুনরায় পরীক্ষায় বসানো হোক।
এই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিকাশ ভট্টাচার্যরা সম্পূর্ণভাবে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে নিজেদের রাজনৈতিক হতাশা প্রকাশ করছেন। তাঁরা চান না এই সমস্যার সমাধান হোক। তাঁরা চান না কেউ চাকরি পাক। এরা সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে। কোথাও কেউ যদি কোনও ভুল করে থাকেন, সেটাই তো শেষ কথা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যাতে চাকরি হয়, কর্মপ্রার্থীরা বঞ্চিত না হন। কিন্তু এঁরা সেই রাস্তাটা আটকে রাখতে চাইছেন মামলা করে করে। বিকাশবাবুরা এই দীর্ঘসূত্রতা করে আটকে রাখতে চাইছেন।”
বিচারাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
এদিকে কলকাতার ধর্মতলায় অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থী, যাঁরা এই বিতর্কিত প্যানেলে নাম থাকায় চাকরি করছেন, তাঁরা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিকাশ ভট্টাচার্যর প্রস্তাব নিয়ে। ইতোমধ্যে তাঁরা ৬ বছর ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অবস্থানরত শিক্ষকরা বলেন, কেন আমরা ফের পরীক্ষায় বসতে যাব? আমরা একটা পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে পাস করে চাকরি পেয়েছি। তার পরও যে বিভিন্ন ভেরিফিকেশন হয়েছে, সেখানেও ডকুমেন্ট দিয়েছি। এমনকী সিবিআই ভেরিফিকেশনেও ডকুমেন্ট দিয়েছি। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসার কোনও প্রশ্নই নেই। যিনি নতুন করে পরীক্ষায় বসার কথা বলেছেন তাঁকে নতুন করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বললে তিনি কি পাস করতে পারবেন?