SSC: কেন চাকরিহারারা স্কুলে যাচ্ছেন?শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের আদালত অবমাননার নোটিস, যা জানা গেল

4086
এসএসসি সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষক নিয়োগ

নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের সচিব, কমিশনার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে আদালত অবমাননার আইনি নোটিস পাঠানো হল। অভিযোগ উঠেছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হওয়া ২৫,৭৩৫ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একটা অংশ এখনও স্কুলে কর্মরত রয়েছেন, যা আদালতের নির্দেশের সরাসরি লঙ্ঘন বলেই দাবি করা হচ্ছে।  

কী বলছে ওই নোটিস? 

মূল মামলাকারী ববিতা সরকার, সেতাব উদ্দিন, নাসরিন খাতুন, লক্ষ্মী তুঙ্গা ও আব্দুল গনি আনসারির পক্ষে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস এই নোটিস পাঠিয়েছেন। ৯ এপ্রিল পাঠানো ওই নোটিসে বলা হয়েছে:  

পড়ুন:  এবার ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি, আদালত যা জানাল

– সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্যানেল বাতিল করলেও বহু শিক্ষক স্কুলে যাচ্ছেন, যা আইনের একপ্রকার “ইচ্ছাকৃত অবহেলা”।  

– রাজ্য শিক্ষা দপ্তর ও এসএসসি আদালতের রায় কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে।  

– কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত ওএমআর শিট এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়েছে।  

পড়ুন:  WBSSC: এসএসসি প্রকাশিত আপার প্রাইমারি শূন্যপদে নাম নেই বহু স্কুলের, সমস্যা বাড়ছে, চেয়ারম্যানকে দাবিপত্র পেশ

সুপ্রিম কোর্ট ২০২২ সালে এসএসসির ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ২৫,৭৩৫ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে। তবে, রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের চাকরি বহাল রাখার আবেদন করেছে শীর্ষ আদালতে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের এক সমাবেশে চাকরিচ্যুতদের “স্কুলে যেতে” পরামর্শ দিয়েছেন, যা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।  

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছে যে, “নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বা শিক্ষাবর্ষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকদের রাখা হোক।” তবে, আদালত এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেননি। এর মধ্যেই বহু শিক্ষক স্কুলে যাচ্ছেন, যা নিয়ে মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনি চাপ বাড়ছে।  

পড়ুন:  Teacher Recruitment: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

এর আগে আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে “মন্তব্য” করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আদালত অবমাননার নোটিস পাঠিয়েছিলেন।