SSC: শিক্ষক নিয়োগে ফের জট! যা বললেন আইনজীবি বিকাশ ভট্টাচার্য, তবে কি…

4692
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

নিউজ ডেস্ক: এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের জট কাটল না। ২০১৬ সালের এসএলএসটি (SSC SLST) শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় নিয়োগকে কেন্দ্র করে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ফের শুনানির তারিখ দিলেন। এসএলএসটি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, শীর্ষ আদালতের সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। 

যদিও বিরোধী আইনজীবীরা দাবি করেন, “মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। শীর্ষ আদালতে সেই শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাই কোর্টের এই মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। দুই আদালতে দুই রকম অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য। শীর্ষ আদালতকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এক রকম বলা হচ্ছে। আর হাই কোর্টে আরেক রকম। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতেই অতিরিক্ত শূন্যপদ (সুপার নিউমারারি পোস্ট) তৈরি করা হয়েছে।”

অতিরিক্ত পদ বা ‘সুপার নিউমেরারি পোস্ট’ নিয়ে তদন্ত প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “শীর্ষ আদালতে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। এই পোস্ট তৈরিই করা হয়েছিল বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের চাকরি বজায় রাখতে।” 

পড়ুন:  SSC: দীর্ঘ দিনের শূন্যপদ পূরণ হল,নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে সচিব পেল এসএসসি, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “ শারীর শিক্ষা কর্মশিক্ষার পদ কেন তৈরি হয়েছে তা নিয়ে মামলা করা হয়েছে কেন। শীর্ষ আদালতে ২৫ জন মামলা করেছে। তাদের চাকরির পদ ফাঁকা রাখবে সরকার। কিন্তু সেই ২৫ জন মামলাকারীর জন্য ১৬০০ শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রয়েছে। পদ শূন্য রেখে বাকিদের নিয়োগ করার অনুমতি দিক আদালত। স্কুলগুলিতে

পড়ুন:  WBJEEB 2025-26 সালে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ করেছে, সরাসরি লিঙ্ক থেকে চেক করুন

সমস্যা হচ্ছে।”

২০১৬ সালের এসএলএসটি-র মাধ্যমে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ১৬০০ শিক্ষকের নিয়োগের প্যানেল তৈরি হয়। অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থী নিয়োগপত্রও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরির সুযোগ না পাওয়া কয়েকজন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর করা নতুন মামলায় আপাতত গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই আটকে গিয়েছে।

অন্যদিকে, বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চান, নিয়োগ কি এখন সম্ভব? তার প্রেক্ষিতে এজি’র বক্তব্য, স্কুলগুলির সমস্যা হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট ২৫ জন মামলাকারীর পদ ফাঁকা রেখে বাকিদের ক্ষেত্রে নিয়োগ সম্পন্ন হোক। বিচারপতি জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। আদালত বিষয়টি নিয়ে তারপরই বিবেচনা করবে।