নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। এর মধ্যে যারা অযোগ্য, তাঁদের বেতন থেকে প্রাপ্ত টাকা সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও এই বেতন ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত কোনও নোটিশ এখনও দেয়নি রাজ্য সরকার। অযোগ্য’দের বেতন ফেরত নেওয়া হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হল।।
এর আগে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ (টেন্টেড), তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। অভিযোগ, এখনও সেই নির্দেশ কার্যকর করতে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার।
এই অবস্থায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরের সচিব, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কমিশনার অফ স্কুলের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার মামলা করেছি। যাঁরা প্রমাণিত দাগি, তাঁদের বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ বহাল রাখে। কিন্তু এখনও কেউ টাকা ফেরত দেননি। টাকা ফেরত নেওয়ার চেষ্টাও রাজ্য সরকারের কেউ করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছিল, দ্রুত ২২ লক্ষ ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে। তা এখনও করা হয়নি। যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, বেতনের পোর্টালে এখনও তাঁদের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রমাণিত ‘দাগি’রাও রয়েছেন। আমাদের বক্তব্য, পোর্টাল থেকে তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে। প্রকৃত ‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, যাতে কোনও অযোগ্য নতুন করে পরীক্ষায় বসতে না-পারেন। এই মর্মে আমরা আদালত অবমাননার মামলা করেছি।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল এসএসসির চাকরি বাতিলের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল করে দেওয়া হয় ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল। ২৫,৭৩৫ জনের চাকরি যায়। ওই নির্দেশেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ (টেন্টেড), তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে হবে।