নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের ডিউটি বয়কটের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা! যদিও বিষয়টি অবহিত নয় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি চাকরিজীবী ‘যোগ্য’ এসএলএসটি শিক্ষক এখন আন্দোলনরত। বুধবার ছিল তাঁদের কালীঘাট অভিযান কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য কালীঘাট অভিযান কর্মসূচি থেকেই তাঁদের একাংশ হুঁশিয়ারি দেন এ বছরের মাধ্যমিকের ডিউটিতে যোগ না দেওয়ার। তবে শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই।
যোগ্য শিক্ষকদের একাংশ জানান, তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা এ বছর মাধ্যমিকের ডিউটিতেও যোগ দেবেন না। যদিও শুক্রবার মাধ্যমিকের প্রেস কনফারেন্সে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আন্দোলনকারী যোগ্য চাকরিজীবীরা মাধ্যমিকের কোনও কাজ করবেন না বলে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই।”
পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিকের পরীক্ষাব্যবস্থা তত্ত্বাবধানের জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ডিউটি দেওয়া আবশ্যিক। ডিউটিতে যোগ না দিলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ করবে পর্ষদ, করা হবে ‘ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন’ বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।
আসলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের এই সময়ে ডিউটিতে যোগদান না করতে পারলে তাঁদের প্রথমে ভেন্যু সুপারভাইজ়ার বা প্রধানশিক্ষকদের কাছে আবেদনপত্র পাঠাতে হয়। এর পর তা পরবর্তী ধাপে জেলা পরিদর্শক বা ডিআই-এর মাধ্যমে পর্ষদের কাছে পৌঁছয়। যদি এই নিয়মবিধি না মানা হয়, তা হলে পর্ষদের তরফে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের কাছে শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়, অর্থাৎ তাঁদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়। সেই কারণে পর্ষদ সন্তুষ্ট না হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করে পর্ষদ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার দাবি নিয়ে SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম হয় বৃহস্পতিবার। ২০১৬-র SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম কলকাতায়, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কালীঘাটে মিছিল করে যাওয়ার আগেই পুলিশি ধরপাকড় ঘিরে ছড়ায় উত্তেজনা। ওইদিন বেলা সাড়ে এগোরাটার সময় SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জমায়েত হতে শুরু করে। তাঁদের দাবি, ‘অবিলম্বে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা হোক।’