যোগ্যদের চাকরি খাব না, মাথায় রেখে দিন; অযোগ্যদের তদন্ত করবে: মমতা বন্দোপাধ্যায়

1681
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষনা

নিউজ ডেস্ক: সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালে এসএসসির নিয়োগের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের। তাঁদের মধ্যে যে সমস্ত ব্যক্তিকে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।

সিপিএম-কে আক্রমণ করে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কেন মামলা করলেন? আমি অনেক বিষয় জেনেও সিপিএম-এর কারও চাকরি কেড়ে নিইনি। আমি বেঁচে থাকতে কোনও যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমি জীবনে জেনে শুনে কারও চাকরি খাইনি। তাই অনেক বদহজম হওয়া সত্ত্বেও সিপিএম-এর কারও চাকরি খাইনি।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অযোগ্যদের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখব। যদি সত্যি তাঁরা অযোগ্য হন সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার থাকবে না। তাঁদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করব। আগে যোগ্যদের বিষয়টি দেখে নিতে দিন। প্রথমে আমাদের তদন্ত করতে দিন।’

শিক্ষকরা যেমন ভাবে কাজ করছেন, তাঁরা তেমন ভাবেই কাজ করবেন।’ স্পষ্ট জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা দু’মাসের মধ্যেই বিকল্প ব্যবস্থা করে দেব। যোগ্যদের কারও চাকরি বাতিল হবে না। সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চাইব। যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই পুরোটা করব। আপনাদের তো কেউ বরখাস্ত করেনি এখনও পর্যন্ত। কোনও নোটিশ পেয়েছেন? আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি না প্রমাণ করতে পারলে কেউ আপনাকে তাড়াতে পারে না।’

পড়ুন:  BIG NEWS: SSC | Supreme Court | উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তৎপর এসএসসি, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘চাকরিহারা যোগ্যদের জন্য আইনি লড়াই লড়বেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল, প্রশান্ত ভূষণ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাকেশ দ্বিবেদীরা।’

সিপিএম ৩৪ বছর অনেক অন্যায় করে গিয়েছে। কারণ আমি বলেছিলাম, বদল চাই, বদলা নই। তুমি গিয়ে কেন অ্যাপ্লাই করলে? বিকাশভট্টাচার্যকে প্রশ্ন মমতার। কেন সমস্ত তালিকা বাতিল করেছে? আজকে বাইরে আমার নামে বড় বড় কথা বলছো। আমি তো চাকরিগুলো দিয়েছিলাম। আমার সরকার দিয়েছিল। এক দুটো কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে। সেই ভুল সংশোধনের জন্য প্রশাসনকে সময় দাও। তা তো দাওনি। রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স!  নেতাজি বলেছিলেন, ভুল করাও অধিকার। যদি কারোর ভুল হয়ে থাকে, সংশোধন করার দায়িত্ব কার? কোর্ট যদি প্রশাসনকে সেই দায়িত্ব দিত, প্রশাসন নিশ্চয়ই সেই কাজটা করতে পারত।

পড়ুন:  SSC: "৯ বছর পরে আবার পরীক্ষা? অবিচার হবে, কোনভাবে তা মানা যায় না..."

প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে, প্রথমে অভিজিতবাবুর বেঞ্চে, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির লিস্ট বাতিল করা হয়। তারপর ডিভিশন বেঞ্চে, সবটাই করা হয়। সিবিআইকে কেস দেওয়া হয়। সিবিআইকে সাহায্য করি, বলি বাছুন, কে যোগ্য, কে অযোগ্য। বলছে ছাব্বিশের ভোটের পর চাকরি করে দেব, আগে একটা কথা আমি আপনাদের বলি, তারপর আমি কী করতে পারি, সেটা আপনাদের বলব। কয়েক দিন ধরে আমাকে… যে মানুষটা জানে না কী হয়েছে, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি… আমি আমার জীবনে জেনেশুনে কারোর চাকরি খাইনি, অনেক বদহজম হওয়া সত্ত্বেও সিপিএমের একটা চাকরিও খাইনি।