২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল, ওবিসি এবং আর জি কর মামলার শুনানি নিয়ে বড় খবর সামনে এল! আদৌ নিষ্পত্তি কি হবে?

উল্লেখিত তিনটি মামলাই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাবদ্ধ হয়েছে। আর জি কর মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিত গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

65003
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরজিকর

নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই অবসর নিচ্ছেন দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। রবিবার ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। ফলে তাঁর বেঞ্চে রাজ্যের ৩ মামলার ফয়সালা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তাঁর বেঞ্চেই রয়েছে, আর জি কর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল এবং ১২ লক্ষ ওবিসি সংসাপত্র বাতিলের মতো বাংলার হাইপ্রোফাইল মামলা।

পড়ুন:  অবৈধ ভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে: শিক্ষিকা, সময় মতো স্কুলে আসতেন না: পর্ষদ, যে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

আগামী কাল, মঙ্গলবার, উল্লেখিত তিনটি মামলাই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাবদ্ধ হয়েছে। আর জি কর মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিত গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে বসা ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর ‘স্থগিতাদেশ’ দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই মামলায় মোট ১১৭টি আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। মঙ্গলবার শুনানির জন্য তালিকাবদ্ধ এই মামলায় আবেদনকারীদের অন্যতম দুই আইনজীবী জয়দীপ মজুমদার এবং পার্থসারথি দেব বর্মনের মন্তব্য,।চারদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া কঠিন। চাকরি বাতিল নিয়ে প্রধান বিচারপতি একবার মামলার শুনানির পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, এক লহমায় এভাবে এতজনের চাকরি চলে যেতে পারে না। গত ৭ মে এই মামলায় স্থগিতাদেশের পর থেকে সেভাবে শুনানি হয়নি। বারেবারে শুনানি পিছিয়ে গেছে।

পড়ুন:  WBSSC SLST বাংলা: পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্র, সহকারী শিক্ষক নবম-দশমের (IX-X) বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র PDF

অন্যদিকে, অনগ্রসর শ্রেণির শংসাপত্র মামলায় এখনও পর্যন্ত সেভাবে শুনানিই হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। তবে কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেননি বিচারপতি চন্দ্রচূড়। রাজ্য সরকারের লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছেন। এই মামলার শুনানিও বারেবারে পিছিয়ে গেছে।