নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় রায় বিরুদ্ধে গেলে রিভিউ পিটিশন দায়ের করবে কমিশন। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে এমনই খবর সামনে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টে আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৫,৭৫৩ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে শুনানি। ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি।
যদিও বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, মূলত দু’টি বিষয় বিবেচনা করা হবে। পুরো নিয়োগ বাতিল হবে, নাকি বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া পরীক্ষার্থীদের বাছাই করে তাদের চাকরি খারিজ হবে।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, যদি আলাদা করে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নেওয়া হয়, তাহলে কী হবে? বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার অরুণ সেনগুপ্ত বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যদি রায় বিরুদ্ধে যায় তাহলে রিভিউ করার একটা সুযোগ থাকে। তেমন হলে রিভিউতে যাওয়া হবে।”
এর আগে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা দুটো বিষয় বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না।’’ কী সেই দু’টি বিষয়, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে — এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছিল ওই চাকরিপ্রাপকদের। সেই বিষয়গুলিও সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।