Homeপশ্চিমবঙ্গSSC Case: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, তবে কি কোন...

SSC Case: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, তবে কি কোন নির্দেশ দেবে আদালত?

এসএসসি সুপ্রিম: আগামীকাল এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারবে SSC? নাকি পুরো প্যানেলই বাতিল করতে হবে? ২০১৬ সালের SSC-র ২৫ হাজার ৭৫৩ জন চাকরি প্রাপকের ভবিষ্যত কী? সোমবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে।

এসএসসি মামলার ফের শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি 26000 শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি হবে। ওইদিন দুপুর ২টোর পর শুনানি হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। গত শুনানিতে আইনজীবি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য নিয়োগ বিভিন্ন দুর্নীতির কথা তুলে ধরে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলেন।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, পরীক্ষায় না বসেই অনেকে চাকরি পেয়েছেন। সন্দেহ থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করেই নতুন করে নিয়োগ করা উচিত। তাঁর অভিযোগ, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। যদিও নতুন করে নিয়োগের বিষয়টিতে আপাতত একমত নয় সুপ্রিম কোর্ট। বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, নতুনভাবে নিয়োগ করতে গেলে অনেক জটিলতা তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার স্বাভাবিকভাবেই কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি।

পড়ুন:  নজিরবিহীন নিয়োগ কেলেঙ্কারি! 24,000 শিক্ষক চাকরি হারাতে পারেন, ফেরত দিতে হবে বেতন, করা হবে মামলা! বিস্তারিত জেনেনিন

যদিও নবম-দশমের চাকরি এক যোগ্য প্রাপক বলেন, ‘আমাদের দাবি যেটা বারবার করে এসেছি, যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই হোক। আমরা বারবার বলছি সিবিআই তদন্তে যে রিপোর্ট, সেটার সত্যতা নিয়ে বা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যদি প্রশ্ন হয়, আরও বেটার কোনও ইনভেস্টিগেশন করা হোক। কিন্তু এই পুরো প্যানেল বাতিল, যে দাবিটা করা হচ্ছে, এই ভয়ঙ্কররকমের রাজনীতিটা, ..রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রটা বন্ধ হোক। প্যানেল বাঁচানোর পক্ষে দাঁড়িয়ে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে যা যা করার, সেগুলি করা হোক।’

পড়ুন:  ছুটির তালিকা: গরমে মাত্র ৯ দিন, আর পুজোয় ২৫ দিনের ছুটি! পর্ষদের ভূমিকায় বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল

২০১৬ সালের আগে খাতায় লিখে SSC পরীক্ষা হত । সেই খাতা ৩ বছর সংরক্ষণ করা হত। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রথমবার OMR এ পরীক্ষা হয়। এবং ৩ বছরে বদলে ১ বছর সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই পরীক্ষায় OMR শিটের অরিজিনাল কপি সংরক্ষণ করেনি SSC. তাহলে কীসের ভিত্তিতে চাকরি বাতিল মামলায় যোগ্য ও অযোগ্য নির্ধারণ? এর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। এখন দেখার আগামীকাল মামলা কোন দিকে গড়ায়। 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments