নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের মাঝেই তৈরি ‘যোগ্য’দের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়েছে, কিন্তু কতজন ঠাঁই পেলেন? দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যত জনের চাকরি বাতিল হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার (১৮,৪১৮)। তাঁদের মধ্যে আবার যাঁরা ‘দাগি’ বা যাঁদের নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তাঁদের বাদ দিয়ে আগেই ১৭,২০৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার রাত থেকেই জেলায় জেলায় ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রাপকদের নামের তালিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হল! স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সূত্রের দাবি অন্তত তেমনটাই। শোনা যাচ্ছে, সেই ‘যোগ্য’ তালিকায় নাম রয়েছে ১৫,৪০৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকার।
শীর্ষ আদালতের কাছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি ছিল, অন্তত পড়ুয়াদের স্বার্থে এই ১৭,২০৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে স্কুলে যেতে দেওয়া হোক। আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে জানায়, এই শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে যেতে পারবেন, পড়াতে পারবেন এবং মাসিক বেতনও পাবেন। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর (২০২৫) পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
জানা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী তালিকাভুক্ত ১৭,২০৬ জনের মধ্যে থেকে আরও ১,৮০৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলত – নতুন তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ১৫,৪০৩ জন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট করতে না পারার জন্যই প্রায় ২৬ হাজার (২৫,৭৩৫) শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগই বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত।