‘SSC মামলায় বিকাশ নিয়েছেন ২৫ লক্ষ, শামিম ৭ লক্ষ, তারপরও কেন?’, বিস্ফোরক মন্তব্য কুণাল ঘোষের

1547
বিকাশ কুণাল

নিউজ ডেস্ক: সিপিএম-কে বেনজির আক্রমণ করে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এক-একজন তাবড় সিপিএম নেতা-কর্মীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তুললেন, এক সময় যে সকল সিপিএম নেতারা আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্য বলে দাবি তুলে তাঁদের আন্দোলনে গিয়ে ছবি তুলেছেন, আজ তাঁদরই চাকরি কাড়তে কেন মরিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে ফিরদৌস শামিম? মীনাক্ষী, সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।

কুণাল বলেন, “এসএলএসটি শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের কেন্দ্র করে হাইকোর্টে একটি ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিরা দেখা করতে আসেন। এদের অবিলম্বে নিয়োগে যে স্থগিতাদেশ আছে, তা তুলে নিয়োগ করা উচিত। এরা সকলে যোগ্য। সিবিআই-এর কোনও অভিযোগ নেই। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী রেকমেন্ডশন লেটার দিয়েছেন। কিন্তু তারপর সিপিএমের উকিলরা এদের পরিবারকে জটিলতায় ফেলেছেন। এই স্থগিতাদেশ দীর্ঘদিন ধরে চলেছে। আইনজীবিদের কাছে ওঁরা যাচ্ছেন। বিচারপতি যা চাইছেন তাই পাচ্ছেন। ফের সিপিএম-এর আইনজীবীরা ফ্যাকড়া তুলেছে। বিচারপতি কিছু কিছু সিপিএমের আইনজীবীকে দেখলে কী হয় জানি না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখেছি। ভগবান-ভগবান-তারপর সাংসদ।”

তিনি আরও বলেন, “বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য একসময় এনাদের পক্ষে ছিলেন। ২৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। আজ বাধা দিচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উনি বলছেন, টাকা নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু এটা কোন পেশাদারিত্ব? যাঁদের থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদেরই চাকরি আটকাতে মামলা করেছেন…।”

পড়ুন:  SSC: এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ, ৩ প্রতিনিধিকেই থানায় নিয়ে গেল পুলিশ

আইনজীবী শামিমের ছবি দেখিয়ে বলেন, “শামিম যত ইচ্ছা গালাগালি দাও ভাই। তুমি মঞ্চে কী করতে গিয়েছিলে? শামিম ৭ লাখ নিয়েছেন। এদের সঙ্গে ছিলেন। আজ বিরোধিতা করছেন কেন? এরা একদিন আমাকে আমন্ত্রণ জানান। আমি গেলাম। মুখ্যমন্ত্রীর রেকমেন্ডশন লেটারে চাকরি হল। শামিমকে ফুল দিতে যান এরা। তারপর উনি পোস্টও করেন। এরপর এখন চাকরি বিরোধিতা করতে নেমেছে।”

পড়ুন:  SSC: চলেছে টানা কাউন্সেলিং, শিক্ষক পদে 'না' ৩০০ বেশি চাকরিপ্রার্থীর, বড় খবর সামনে এল

একে একে বিভিন্ন ছবি সংবাদ মাধ্যমে দেখিয়ে কুণাল বলেন, “এরা যখন ধরনায় ছিলেন তখন মহম্মদ সেলিম কী করছেন? লজ্জা করে না? বিকাশ ভট্টাচার্য আবার চাকরি আটকাচ্ছেন। সুজন চক্রবর্তী এদের ধরনায় বসে আছে। যিনি এদেরই চাকরির জন্য ৬ই জানুয়ারি ২০২১ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন…যাতে এদের চাকরির জন্য। আর বিকাশ হাইকোর্টে চাকরি আটকাচ্ছে। কত বড় দু’নম্বরী।”