নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (DA) ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এই ঘোষণায় কর্মীদের একাংশ উচ্ছ্বসিত হলেও অন্য অংশ খুশি নয়। যেখানে ৩৯ শতাংশ ডিএ বাকি ছিল, সেখানে মাত্র ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষনা নিয়ে অখুশি সরকারি কর্মীদের বড় অংশই।
দু’বছর ধরে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার শহীদ মিনারের নীচে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ৷ তাদের দাবি, অল ইন্ডিয়া অ্যাভারেজ কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) অনুযায়ী তাদের মহার্ঘভাতা দিতে হবে৷ মঞ্চের বক্তব্য, “আমার 39 টাকা চুরি করে তার থেকে চার টাকা আমাকে দিলে কী করে খুশি হব ! আমাদের প্রাপ্যটুকু আমাদের দিয়ে দাও। মন্ত্রী-বিধায়কদের 20-30 হাজার টাকা বাড়ানো হলেও সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা কেন দেওয়া হচ্ছে না?”
বিক্ষোভরত এক কর্মী বলেন, “শুধু তো কেন্দ্রীয় সরকার নয়, এআইসিপিআই অনুযায়ী দেশের অন্যান্য একাধিক রাজ্য, বিশেষ করে কেরল, কর্ণাটক কিংবা ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যও সরকারি কর্মচারীদের প্রায় 30%-এরও বেশি হারে মহার্ঘভাতা দিচ্ছে। তাহলে কেন পশ্চিমবঙ্গের সরকার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন খাতের থেকে বরাদ্দ পেয়েও সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য দিচ্ছে না৷”
রাজ্য সরকারের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণাকে ভিক্ষার সঙ্গে তুলনা করে সরকারি কর্মচারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা ভিক্ষা চাই না, ন্যায্য পাওনা চাই৷”
৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পরেও কেন্দ্র ও রাজ্যের ডিএ-এর মধ্যে ফারাক রইল ৩৫ শতাংশ। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ফারাকও ধীরে ধীরে কমে আসবে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিনে সবটা হয় না। আমরা সবটাই ক্লিয়ার করব। ফেজ় বাই ফেজ় হবে। এতগুলি প্রকল্প চালিয়ে যখন যেমন আমাদের টাকা আসবে, দেবো। পে কমিশনের টাকা-সহ এই ডিএ। ভবিষ্যতে আরও পাবেন। আমরা সবটাই ক্লিয়ার করব।’