নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে শুরু হল বিচার পর্ব। সোমবার বিচারপর্বের প্রথম দিন দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত-১। আর সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই। ‘বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে!’ এবার আরজি কর বিচারপর্বের শুরুতেই ‘বিস্ফোরণ’ দাবি সঞ্জয়ের।
অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের উপস্থিতিতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য ও পরিবারের পরিচিত একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
এই মামলায় সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইয়ের নাম ছিল। গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। আদালত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্য়ান থেকে সরকার তাঁকে ফাঁসাচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। সঞ্জয় বলে, ‘বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে। ডিসি স্পেশ্যাল আমাকে ফাঁসিয়েছে। বড় বড় অফিসারেরা আছে। সরকার ওদের সাপোর্ট করছে।
এর আগে শিয়ালদা কোর্টে তোলার সময়ও এমনভাবেই ‘আমি কিছু করিনি। আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে। আমার কথা শোনেনি। আমি যখন বলেছি, আমার কথা শোনেনি। আমি কিন্তু রেপ-মার্ডার করিনি। এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমার কোনও কথা শোনেনি। আমায় ভয় দেখাচ্ছে, যে তুমি কিছু বলবে না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে পুরো ভয় দেখানো হয়েছে। কাউকে বাঁচানোর জন্য আমায় ফাঁসানো হয়েছে। এটা কী কোনও ন্যায়, এটা ভারতের সংবিধানের ন্যায়। আমায় ওপর থেকে নীচে নামিয়ে আনা হল।
দু’জনের বিরুদ্ধে এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে একাধিকবার সরব হয়েছে সিবিআই। ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে নতুন ধারা যোগ করার আবেদন জানাতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। অন্যদিকে, ধৃত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট জমা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে সিবিআই।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর খুন এবং ধর্ষণ মামলায় প্রথম থেকেই নজরে ছিল মূল অভিযুক্ত ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তি। বিভিন্ন মানুষের দাবিও ছিল সঞ্জয় ছাড়াও একাধিক নাম থাকতে পারে আরজি করের ঘটনার সঙ্গে। যদিও প্রাথমিক চার্জশিটে শুধু সঞ্জয়ের নামই আদালতের কাছে দিয়েছিল সিবিআই।