নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত রায়দান রিজার্ভ রাখল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার ছিল শুনানি। এই মামলার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করল।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত আদালতে জানান, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের সঙ্গে একমত। অর্থাৎ প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য যেদিন (২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তার আগে যারা দু’ বছরের ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছে, তারাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার যোগ্য। প্রশিক্ষণহীন টেট পাশ প্রার্থীদের নিয়োগ নয়।
তবে এর আগে পর্ষদ আগে বলেছিল, এরা অংশ নিতে পারবে। অবস্থান বদল করায় এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পর্ষদকে। বিচারপতি মনোজ মিশ্র বারবার জানতে চান, কেন অবস্থান বদল করছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? জবাবে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, কেন’র কোনও উত্তর হয় না। অবস্থান বদল হচ্ছে, এটাই সিদ্ধান্ত।
তবে টেট পরীক্ষায় পাশ কিন্তু সেই সময়ে ডিএলএড কোর্স অসম্পূর্ণ থাকা আবেদনকারীদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়ার আর্জি, এখনও ২ হাজার ২৩২ পদ খালি পড়ে আছে। তাহলে কেন আমাদের মক্কেলদের চাকরি দেওয়া হবে না?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য জুড়ে মোট সাড়ে ১১ হাজার শূন্যপদ প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজার পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়। বাকি থাকা ২,২৩২টি পদ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। বিতর্কের মূল বিষয় ছিল, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের ডি.এল.এড (D.El.Ed) কোর্সের সেশন সম্পন্ন করা প্রার্থীরা এই নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন কি না। পিটিশনকারীদের দাবি, কোভিড পরিস্থিতির কারণে তাদের কোর্স সেশন পিছিয়ে গেলেও টেট পাস করার পর তারা নিয়োগের যোগ্য। তবে রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, শুধুমাত্র ২০২২ সেশনের প্রার্থীদেরই আবেদনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে