নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার জন। এবার প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই আর্জি জানালেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একাংশ।বৃহস্পতিবার সব পক্ষকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করার কথা মামলাকারীদের।
বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, প্রাথমিকের এই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ রয়েছে। তার ফলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা হোক। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আপাতত সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘মামলার বাকি সব পক্ষকেই নোটিস দিতে হবে। শুনানির দিন স্থির করার জন্য আদালতে আবেদন করতে হবে তাদেরও। এক পক্ষের আবেদন শুনে আদালত শুনানির দিন ঠিক করলে তাতে নির্দিষ্ট দিনে শুনানি নাও হতে পারে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বেআইনি ঘোষিত হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি সৌমেন সেন সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ গত ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। তবে বিচারপতি সৌমেন সেন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। তারপর মামালাটি এসেছে বিচারপতি চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে।