নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য উৎসশ্রী পোর্টালে মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার চালু করলো স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এই নিয়ে নোটিশ জারি করা হল। বিকাশ ভবন থেকে এদিন নোটিশ জারি করা হয়। ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে। তার পর আবার নতুন নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে।
কিন্তু সাধারণ বা বিশেষ বদলি কেন চালু করা হল না? সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। চলছে কাউন্সেলিংও। নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই আপাতত এই দু’ধরনের বদলি বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (ডব্লিউবিসিএসএসসি) থেকে। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে আগামী জুন মাসে।
এদিন মিউচুয়াল ট্রান্সফারের কথা বলা হল। যদিও জেনারেল ট্রান্সফার আগের মত বন্ধই থাকছে। এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “অন্ততপক্ষে মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালুর দাবি অনেক দিন থেকে জানানো হয়েছিল। সেই দাবি মেনে তা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় অনেকে উপকৃত হবেন কিন্তু জেনারেল ট্রান্সফার বা আবেদনের ভিত্তিতে ট্রান্সফার চালু না হলে বহু সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষাকর্মী বদলি পাবেন না। আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে উৎসশ্রী পোর্টাল সম্পূর্ণ রূপে খুলে দেওয়া হোক। তাছাড়া বিবিমিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের লকিং পিরিয়ড তুলে দেওয়া হোক।”
অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকার পর উৎসশ্রী ট্রান্সফারে মিউচুয়াল চালুর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই, সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানানোর পরে স্কুল শিক্ষা ও শিক্ষকদের সমস্যা না থাকায় মিউচুয়াল চালুর দাবি মান্যতা পেয়েছে। তবে জেনারেল ট্রান্সফার চালু করা দরকার ছিল ও মিউচুয়ালে সেকসন সমস্যা সমাধান, একাধিকবার মিউচুয়াল চালু, ৫ বছর লকিং পিরিয়ড তুলে দেওয়া, সকলের প্রোফাইল আনলক করতে হবে, আজকেও বিষয়গুলো নিয়ে বিকাশ ভবনে আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।”
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সরকারকে জানিয়েছি। সরকার চালু করলে দ্রুত ট্রান্সফার সম্পূর্ণ হবে।”
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছিলেন, “যেহেতু এই মুহূর্তে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে তাই জেনারেল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। তবে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। শিক্ষা দফতরকে এই বিষয়ে আমরা জানিয়েছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বদলির পোর্টাল বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় ২২০০-এর বেশি জেনারেল ট্রান্সফারের আবেদন আটকে রয়েছে। পাশাপাশি মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা আপস-বদলির ক্ষেত্রেও চিত্রটা একই। এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের ব্যাখ্যা ছিল, যেহেতু স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে নিয়োগ চলছে তাই বদলির ফলে যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয় তাই বদলির পোর্টাল বন্ধ রাখা হয়েছে। এবারে মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু করলো স্কুল শিক্ষা দপ্তর।