Home ভারত মাত্র ১১ বছরে বিয়ে, ২০-তে সন্তানের বাবা! ডাক্তারি পরীক্ষা পাশ করে তাক...

মাত্র ১১ বছরে বিয়ে, ২০-তে সন্তানের বাবা! ডাক্তারি পরীক্ষা পাশ করে তাক লাগিয়েছেন রামলাল

574

ডাক্তারি পরীক্ষা: ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি-কাম-এন্ট্রান্স টেস্ট (এনইইটি) দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে প্রতি বছর লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। এই নিবন্ধে, আমরা রামলাল নামে রাজস্থানের একজন ব্যক্তির যাত্রার কথা তুলে ধরব যিনি বিভিন্ন বাধাগুলিকে সুযোগে পরিণত করেছিলেন।

রামলালের বাড়ি রাজস্থানের চিতোরগড় জেলার ঘোসুন্দায়। তিনি তার পঞ্চম প্রচেষ্টায় NEET UG পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং এখন তার পরিবারের প্রথম ডাক্তার হতে চলেছেন।

রামলালের বয়স যখন এগারো বছর তখন তার বিয়ে হয়। সে সময় সে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। জোরপূর্বক বাল্য বিবাহ সত্ত্বেও, রামলাল স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি আরও পড়াশোনা করতে চান। তবে তার বাবা তার সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না। রামলালের স্ত্রী মাত্র 10 শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করেছিলেন, কিন্তু ডাক্তার হওয়ার আগ্রহ দেখে, তিনি তাকে তার স্বপ্ন অনুসরণ করতে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন।

পড়ুন:  NEET UG 2025: NTA সংশোধিত পরীক্ষার প্যাটার্ন প্রকাশ করল, বাতিল করা হল ঐচ্ছিক প্রশ্ন

রামলাল সায়েন্স স্ট্রিম বেছে নেন এবং 10 শ্রেণীতে 74 শতাংশ পেয়ে UGC NEET পরীক্ষার জন্য অধ্যয়ন শুরু করেন। 2019 সালে, রামলাল প্রথমবার NEET পরীক্ষা দেন এবং 720 স্কোরের মধ্যে 350 পেয়েছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত প্রতিটি চেষ্টায় আরও বেশি উন্নতি করতে শুরু করেন এবং তার নম্বর উন্নত করার জন্য কোটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। রামলাল NEET 2022 পরীক্ষায় 490 স্কোর করেন।  

পড়ুন:  NEET UG 2025 আবেদন শীঘ্রই: মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনের জন্য কত নম্বরের প্রয়োজন?

২০১৯ সালে দ্বাদশের পরীক্ষা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে NEET পরীক্ষায় বসেছিলেন রামলাল। সেইবার ৩৫০ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে NEET-এ ৩২০ পেয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়বার তিনি পান ৩৬২ নম্বর। পঞ্চমবার NEET-এ তিনি পাশ করেন।

রামলাল বলেন, “আমি একটাই লক্ষ্য নিয়ে জীবনে এগিয়েছি। ২০ বছর বয়সে আমার সন্তান হয়। পরিবারের দায়িত্ব থেকে কোনওদিন নিজেকে সরিয়ে রাখিনি। আবার পড়াশোনাতেও কোনও খামতি থাকেনি। পাঁচ বছর ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। অনেকে এই সময় বিভিন্ন কথা আমাকে শুনিয়েছিলেন। আমি নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছি।”