নিউজ ডেস্ক: ট্রেনের মধ্যে একজন বৃদ্ধকে মারার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি উঠছে।
নবদ্বীপ ধাম ট্রেনে আক্রান্ত ফরাক্কার তোফাপুর গ্রামের মাফিকুল ইসলামের বাড়িতে যান ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এবার মাফিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে নিউ ফরাক্কা জিআরপির কাছে গেল প্রতিনিধি দল। এদিন FIR করা হয়েছে। পুলিশ FIR গ্রহণ করেছে।
নবদ্বীপ ধাম এক্সপ্রেস ট্রেনে আক্রান্ত ফারাক্কার তোফাপুর গ্রামের মাফিকূল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে নিউ ফারাক্কা GRP এর কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে রয়েছেন ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী জিম নওয়াজ, তৃনমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গতকালের ঘটনা নিয়ে মাফিকুল ইসলাম বলেন, “গতকাল(৫ই মার্চ) সকাল আনুমানিক ৮:৩০টায়, মালদা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে যাই। স্টেশনে আমি আমার বাইক পার্ক করি। নিরাপত্তার কথা ভেবে বাইক সহ সেই স্থানটির ভিডিও করার জন্য মোবাইল বের করে রেকর্ডিং বোতাম টিপি। এরপর ভুলবশত ভিডিও রেকর্ডিং অফ না করেই মোবাইলটি পকেটে ভরে নবদ্বীপ-বালুরঘাট ট্রেনে বসে পড়ি। আসলে মোবাইল সম্পর্কে আমি ততটাও সড়গড় নই। বেশকিছুক্ষণ পর মোবাইলটি পকেট থেকে বের করলে আমার সিটের উল্টোদিকে বসা মেয়েটি তার মুখের ভিডিও করার অভিযোগ করে আমার উপর আক্রমণ শুরু করে। আমার কোনো কথাই শুনতে চাইনি। যদিও আমি ভিডিও দেখাই, সেখানে কিছুই ছিল না, তারপরেও অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে এবং চড় মারতে থাকে।”