IIT Baba: রোহিত ভুল করছিল কিন্তু সিগন্যাল পাঠিয়ে ভারতকে T20 বিশ্বকাপ জেতান তিনিই, একি দাবি IIT বাবার

IIT Baba's claim on T20 World Cup

1581

IIT BABA: ভারতের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভুল করছিল, কিন্তু সিগন্যাল পাঠিয়ে ভারতকে T20 বিশ্বকাপ জেতান তিনিই, এমনই দাবি IIT বাবার (IIT BABA)। শুধু দাবি করেই থেমে থাকেননি তিনি। রোহিতরা বার্বাডোজে খেলছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনাল। তারপরও তিনি কীভাবে ‘সিগন্যাল পাঠান’, সেটাও ‘বুঝিয়েছেন’ আইআইটি বাবা।

মহাকুম্ভের ভাইরাল ‘আইআইটি বাবা’ অভয় সিং, সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও নবভারতের সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে যাতে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে বল তুলে দেওয়া হয়, সেজন্য ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বারবার বলছিলেন। কিন্তু রোহিত কিছুতেই নিজের ডেপুটিকে বল দিচ্ছিলেন না। পরে হার্দিককে বল দেওয়া হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। ভারত ১৩ বছর পরে কোনও আইসিসি খেতাব জয়ের জন্য স্বাদ পায় বলে দাবি করেন ‘আইআইটি বাবা’। 

তিনি এই নিয়ে দাবি করেন, পুরোটাই সিগন্যাল, তরঙ্গ, ক্যামেরা, শক্তির খেলা। আর সেই ‘ম্যাজিকের’ কারণেই তিনি বিশ্বের অন্যপ্রান্তে বসেও বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে থাকা রোহিতকে যে ‘সিগন্যাল’ পাঠাচ্ছিলেন, সেটা ভারতীয় অধিনায়ক নিজের সামনেই দেখতে পাচ্ছিলেন।

সাংবাদিক: ক্রিকেট দেখেন আপনি?

‘আইআইটি বাবা’: হ্যাঁ, দেখেছিলাম আমি…..। কিছুটা জিতিয়েও দিয়েছিলাম। বড় ক্রিকেটার তিনিই….।

পড়ুন:  অবাক কান্ড: গরমকে হারাতে কলেজের অধ্যক্ষ ক্লাসরুমের দেয়ালে গোবর লেপছেন, ভিডিও দেখুন 

সাংবাদিক: এখানে বসে আপনি জিতিয়েও দিতে পারেন?

‘আইআইটি বাবা’: হ্যাঁ (একরাশ হাসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমি করেছিলাম। আমি ওকে (ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা) বারবার বলছিলাম যে আরে ভাই, হার্দিককে বল দে, হার্দিককে বল দে। কিন্তু বল দিচ্ছিল না ও।

সাংবাদিক: লোকজন যখন শুনবেন, তখন বলবেন না যে বাবা কী উলটো-পালটা বলছেন। এখানে বসে উনি কীভাবে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) জিতিয়ে দিলেন? আপনি তো ড্রেসিংরুমে ছিলেন না।

পড়ুন:  Big News: হরিয়ানায় বিরাট কামব্যাক বিজেপির, চমক দেখাচ্ছে গেরুয়া শিবির, দেখেনিন ভোটের ফল

‘আইআইটি বাবা’: তো আমি উপায়টা বলছি।

সাংবাদিক: কী উপায়?

‘আইআইটি বাবা’: এখানে বসে কীভাবে সেটা করতে পারেন? মানে এখানে বসে আপনাকে সিগন্যাল পাঠাতে হবে। ওই সেই সিগন্যাল লাইভ আসছে। তো আপনি বিষয়টা বুঝুন। বিষয়টা একই। একই শক্তি, যা এই রূপে আসছে। তারপর তরঙ্গ আকারে বাতাস দিয়ে গিয়ে কোনও টাওয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। ওই টাওয়ারে কীভাবে পৌঁছাল? ওখানে যে ক্যামেরা ছিল, তা শক্তিকে শুষে নেয়। তাই কোথাও না কোথাও গিয়ে আপনি বিষয়টা নিজের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন। মাঝে শুধু তথ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। কোড, ডিকোড হচ্ছে। এই রূপে কোড হবে, তারপর ওই রূপে ডিকোড হবে।

পড়ুন:  বেতন নেই তিন মাস! বাধ্য হয়ে ছুটি নিয়ে দিনমজুরের কাজ করছেন শিক্ষক, কেন?

এমনিতেই বিতর্কের মধ্যে রয়েছেন ‘আইআইটি বাবা’। আর তারইমধ্যে ওই সাক্ষাৎকারে তিনি যা মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।