নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় এসেই একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের ঘোষনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তার তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে এই প্রকল্প চালু করেন তিনি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদেরকে মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। তফসিলি মহিলারা পান ১২০০ টাকা করে।
২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে এই প্রকল্পে ফের টাকা বাড়তে পারে বলে চর্চা চলছে। মনে করা হচ্ছে সেই সময় ২০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। যদিও এখনও এই নিয়ে সরকার তরফে কোনো ঘোষণা হয়নি। রাজ্যের অধিকাংশ মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান। তবে এক্ষেত্রে আবেদনের জন্য বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে, নাহলে টাকা মিলবে না।
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে আবেদনকারিণীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফ্রি ফর্ম নিয়ে তা ঠিকঠাক পূরণ করতে হবে। সাথে দিতে হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স, আধার কার্ড।
যদি কেউ তপশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেই সার্টিফিকেট দিতে হবে। তার সাথে অবশ্যই যিনি আবেদন করছেন তার এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। আবেদনকারিণী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং কোনও সরকারি সংস্থা বা চাকরি থেকে মাসমাইনে বা পেনশন পান না বলে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে। সাথেই তার দেওয়া সমস্ত তথ্য সঠিক বলে জানাতে হবে। সরকারি আধিকারিকরা সব তথ্য যাচাই করে অনুমোদিত হলে প্রকল্পের টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ঠিকঠাক দিতে হবে।