নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে দাবদাহ, গরমে কাহিল হয়ে পড়ছেন অনেকেই। বড়রাই যেখানে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন, সেখানে বাচ্চাদের অবস্থা কী হচ্ছে, তা আন্দাজ করাই যায়! এই অবস্থায় কি এবছর আগে ভাগেই গরমের ছুটি পড়ছে? বিকাশ ভব সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই গরম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না তাঁরা৷ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে চায় বিকাশ ভবন। জেলাভিত্তিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
চলতি বছরের গরমের ছুটি শুরু হবে মে মাসের ১২ তারিখ যা চলবে ২৩ তারিখ পর্যন্ত। এখনই একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ মে মাসে পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছবে, জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়া নিয়েই আশঙ্কায় শিক্ষকেরা।
গরমের ছুটি নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “পরিকল্পনাহীন ছুটি নয়, পূর্বের ৮৫ টি ছুটি ফিরিয়ে দিয়ে বাস্তবসম্মতভাবে গরমের ছুটি বাড়ানো হোক। বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ছুটি অথবা মর্নিং স্কুল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক। না হলে পরিকল্পনাহীন ভাবে সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে গ্রীষ্মে প্রায় দু’ মাস ছুটি অথচ বেসরকারি স্কুলগুলি চালু থাকলে পঠন পাঠন দারুণভাবে বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সরকারি বিদ্যালয়ের প্রতি অভিভাবকদের আগ্রহ আরো কমবে।”
বর্তমানে বছরে তিনবার ক্লাস ভিত্তিক মূল্যায়ন করা হয় পড়ুয়াদের। এপ্রিল, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে তিনটি মূল্যায়ন হয়। ইতিমধ্যে স্কুলগুলিতে প্রথম সামেটিভের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার পরই শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের ক্লাস। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, তাই গরমের ছুটি নিয়ে চটজলটি সিদ্ধান্ত চায় না সরকার।
এদিকে, রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস নেওয়ার সময় সীমার বদল হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। এখন দেখার গরমের ছুটি নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর।