নিউজ ডেস্ক: দিঘারি জগন্নাথ ধাম নিয়ে রাজনীতির পারদ এখন তুঙ্গে। বঙ্গ বিজেপি যেন দ্বিধাবিভক্ত। বুধবার সন্ধ্যে থেকেই বিজেপির অন্দরমহল টগবগ করে ফুটছে। মমতা-দিলীপের হাসিমুখে ঘরোয়া কথাবার্তা রীতিমতো বঙ্গ বিজেপির মুখে যেন ঝামা ঘষে দিয়েছে।
তবে কি সারা জীবন আরএসএস করা, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির পা হড়কে যেতে চলেছে? নাকি পোড়খাওয়া দিলীপ ভরকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন?
সাংবাদিকদের কথা বলার সময় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দেখিয়ে দিলীপ ঘোষ বলছেন, “আমার বন্ধু পাশে আছে।” শুনে মুচকি হাসছেন অরূপ বিশ্বাস। এরপরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, শমীক ভট্টাচার্য থেকে ছোট-বড় একাধিক নেতা এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষের পাশে তো থাকেননি, উল্টে লাগামছাড়া আক্রমণ শানিয়েছেন।
গতকাল জগন্নাথ দর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। আজ সকালে সৈকত শহরে খোশ মেজাজে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। রুটিন মাফিক প্রাতঃভ্রমণ সারলেন। বললেন বিজেপি থেকে হিন্দুত্ব নিয়ে নানা কথা।
এদিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে এসে চলতি বিতর্কের জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “যারা স্বতন্ত্র, স্বাভিমানী রাজনীতি করে, পার্টি তাদের দেখেই চলে। সুভাষ চক্রবর্তী বামফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, তিনি লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে আসতেন, নেতারা ব্রিগেডে ভাষণ দিতেন। কারোর লোক আনার ক্ষমতা ছিল না। হিংসা থাকবেই পার্টিতে। পার্টির কর্মীরা কার উপরে ভরসা করেন, কে লড়তে শিখিয়েছে, কে জিততে শিখিয়েছে, এটা দেখতে হবে। কারোর সঙ্গে কথা বললেই যদি পার্টি থেকে চলে যাওয়া হয়, ওই নীতিকে রাজনীতিকভাবে ঘৃণা করি।”
নাম না করেই এদিন তুলোধোনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সৌমিত্র খাঁ-সহ অন্যান্যদের। বললেন, “মমতার আঁচলের তলায় থেকে বড় হয়ে আমাকে বিজেপি শেখাচ্ছে।” দিলীপের সাফ কথা, “রাজনীতি ছাড়লেও পার্টি ছাড়ব না।”
দিলীপ আরও বললেন, “দিলীপ ঘোষের দিকে আঙুল তোলার হিম্মত কারও নেই। আমাকে হিন্দুত্ব বোঝাবেন না। যারা বড় কথা বলছেন তাঁরা মমতার আঁচলের তলায় থেকে বড় হয়েছেন!” সৌমিত্রকে একহাত নিয়ে বললেন, “যারা চারটে গার্লফ্রেন্ড রাখে, রাতের জীবন একরকম দিনের জীবন অন্য, তাঁরা দিলীপকে ভোগী বলছে! মানুষ জানে দিলীপ ঘোষ কী।”